এবি ডিভিলিয়ার্স। —ফাইল চিত্র
ক্রিকেটের প্রথম ‘৩৬০ ডিগ্রি’ ব্যাটার বলা হয় তাঁকে। উইকেটের সব দিকে বড় শট খেলার সহজাত ক্ষমতা থাকায় এই নাম দেওয়া হয়েছিল এবি ডিভিলিয়ার্সের। দেশের হয়ে খেলা হোক, বা লিগ ক্রিকেট, প্রতিপক্ষ ভয়ে থাকত তাঁকে নিয়ে। অথচ ডিভিলিয়ার্স নাকি বড় ম্যাচের আগে ঘুমোতেই পারতেন না। আতঙ্কে ঘুম আসত না তাঁর।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার। তিনি বলেছেন, ‘‘বড় ম্যাচের আগে আমার আতঙ্কে ঘুম আসত না। ঘুমের ওষুধ খেতে হত। ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরে আতঙ্ক খানিকটা কমত। একটু ফুরফুরে লাগত। তার পরে ঘুমাতে পারতাম।’’
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে তাঁর এই সমস্যা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ডিভিলিয়ার্স। তিনি বলেছেন, ‘‘২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের রাতটা আমার স্পষ্ট মনে আছে। সেই ম্যাচটা আমাদের জিততেই হত। আগের রাতে ঘুমাতে পারছিলাম না। ঘুমের ওষুধ খেয়েও ঘুম আসছিল না।’’
চিকিৎসককে ডাকতে বাধ্য হয়েছিলেন ডিভিলিয়ার্স। তার পরেও সমস্যা কমছিল না। তিনি বলেছেন, ‘‘বাধ্য হয়ে হোটেলের ঘরে চিকিৎসককে ডাকতে হয়েছিল। তিনি ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন। তার পরেও ঘুম আসছিল না। পেটে অসম্ভব যন্ত্রণা হচ্ছিল। পরের দিনের ম্যাচের কথা যত ভাবছিলাম তত ভয় লাগছিল। খুব বেশি হলে ভোরের দিকে ২-৩ ঘণ্টা ঘুমিয়েছিলাম। কিন্তু সেই ম্যাচেই জীবনের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলেছিলাম আমি।’’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে মাত্র ৭৪ বলে ১৫০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ডিভিলিয়ার্স। ১৭টি চার ও আটটি ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। এক দিনের ক্রিকেটে সেটিই দ্রুততম ১৫০ রানের ইনিংস।