ফাইল চিত্র।
যে আইপিএল নিয়ে গোটা পৃথিবী এখন হইচই করছে, যে আইপিএল ক্রীড়াবিশ্বে গবেষণার বিষয়, তার স্রষ্টা কে? এই প্রশ্নের জবাবে অনেককেই হয়ত দু’বার ভাবতে হবে। কারণ, অনেকেই হয়ত ললিত মোদীকে ভুলে গিয়েছেন। কিন্তু তাঁকে ভুলে যাওয়া যায় না। শত চেষ্টা করলেও না। শেষ বার খবরে এসেছিলেন প্রায় ১০ বছর আগে। এক গুচ্ছ আর্থিক দুর্নীতি এবং বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ২০১৩ সালে তাঁকে সারা জীবনের জন্য নির্বাসিত করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তার পর থেকে তিনি লন্ডনে ‘বেপাত্তা’। লোকেও তাঁকে ভুলে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় হঠাৎ তাঁর টুইট ভেসে এল, অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন তাঁর ‘সঙ্গিনী’, বিয়েও হবে দু’জনের।
তবে শোরগোল ফেলে দেওয়াই ললিতের চরিত্র। শুরুটা আশির দশকে কলেজে ঢোকার সময়। ভারতের নয়, আমেরিকার কলেজ। বাবা কৃষ্ণকুমার মোদীর কাছে হঠাৎ ছেলের নাছোড় বায়না, গাড়ি চাই। কী গাড়ি, সেটাও বাবাকে জানিয়ে দিলেন— মার্সিডিজ। তখনও আমেরিকা পাড়ি দেননি ললিত। চার হাজার কোটি টাকার মোদী এন্টারপ্রাইজের মালিক কেকে মোদী এবং তাঁর স্ত্রী বীণা তখন আর পাঁচজন বাবা-মায়ের মতো ছেলের সব কিছু গুছিয়ে দিতে ব্যস্ত। ছেলের আব্দার শুনে তাঁরা থ! নাছোড় ছেলের মন রাখতে বাবা পাঁচ হাজার ডলার দিয়ে বললেন, ‘‘একটু সস্তার গাড়ি কিনো বাবা।’’ ছেলে সেই টাকা ব্যবহার করল মার্সিডিজ কেনার প্রথম কিস্তিতে।
দিল্লির অভিজাত মহারানি বাগের বিলাসবহুল ভিলায় বসে কেকে মোদীকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আক্ষেপ করতে শোনা গিয়েছে, ‘‘ললিতের ছোট থেকেই যেটা সমস্যা, এক বার যেটা চাইব মনে করে, সেটা না পাওয়া পর্যন্ত থামতে জানে না।’’ ললিতের এই জেদই আইপিএলের জন্ম দিয়েছে। এই জেদই তাঁকে ‘ফেরার’ করে রেখেছে। এই জেদই কি তাঁকে সুস্মিতার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে দিল? ইতিহাস বলছে, ২০১৩ সালে সুস্মিতার জবাব না পেয়ে ললিত টুইটারে লিখেছিলেন, ‘আমার এসএমএস-এর জবাব দাও।’ বোঝা গিয়েছিল, যেটা চান সেটা হাসিল করেই ছাড়েন ললিত।
আইপিএলের জন্মদাতা, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কোষাগার কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া, ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রবল অনিশ্চিত হয়ে পড়া আইপিএল-কে প্রায় রাতারাতি একার দক্ষতায় দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে যাওয়া, আইপিএলের মাধ্যমে বিশ্ব ক্রিকেটকে অন্য মোড় দেওয়ার কাণ্ডারি হিসাবে ললিতকে সবাই চেনেন।
এ হেন ললিতের প্রায় গোটা জীবনটাই অত্যন্ত বেপরোয়া। তখন বয়স চোদ্দ-পনেরো হবে। বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়ে দিল্লির রাস্তায় বিনা লাইসেন্সে লাগামছাড়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে শ্রীঘরে যান। প্রভাবশালী বাবার ছেলেকে ছাড়িয়ে আনতে বেশি সময় লাগেনি।
নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ অ্যালুমনিতে মাঝে মাঝেই হয় ‘ললিত কলা’-র চর্চা। সেখানে ললিতের সহপাঠী রামেশ্বর ঝা নৈনিতালের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক। তাঁর কথায়, ‘‘এক দিন হঠাৎ ক্লাস বাতিল হয়ে গেল। ফুটবল ম্যাচ দেখতে যাচ্ছে বলে প্রিন্সিপালের থেকে অনুমতি নিয়ে তিন বন্ধুর সঙ্গে ললিত চলে গেল ক্যাপিটাল সিনেমা। রাজেশ খন্না-ডিম্পল কপাডিয়ার ‘রেড রোজ’ দেখতে। প্রিন্সিপাল জানতে পেরে ললিতের বাবা-মাকে ডেকে পাঠালেন। স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল ওকে।’’
চমকটা এর পরে। রামেশ্বরের কথা অনুযায়ী, ললিত ঠিক এটাই চেয়েছিলেন। আমেরিকায় পাড়ি দেওয়ার প্রবল বাসনায় কিছুতেই এ দেশের স্কুলে পড়তে চাননি। স্কুল পালাবেন বলেই এই সব পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা।
কী করে আইপিএল-কে চূড়ান্ত সাফল্য এনে দিলেন? ললিত বরাবরই দুর্দান্ত ‘ম্যানেজার’। সেন্ট জোসেফের এক সহপাঠী বলেছেন, ‘‘স্কুলে পড়ার সময় থেকেই ও দুর্দান্ত ম্যানেজার। ক্লাসের হোমওয়ার্কগুলো করতই না। আমাদের দিয়ে করিয়ে নিত। তার বদলে আমাদের ১০০ টাকা করে দিত।’’
ললিত মোদীর প্রথম স্ত্রী মিনাল সাগরানি। ছবি সংগৃহীত।
বুদ্ধি কোনও অংশে কম ছিল না। তাই আমেরিকার কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য যে স্যাট পরীক্ষায় বসতে হয়, সেখানে পাস করে ললিত ভর্তি হয়ে গেলেন ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেও ‘গুণধর’ সাঙ্গপাঙ্গ জুটিয়ে নেন। তিন বন্ধুকে নিয়ে ১০ হাজার ডলার দিয়ে ৫০০ গ্রাম কোকেন কিনতে যান। যে বিক্রি করছিল, সে উল্টে ললিতদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ওই ১০ হাজার ডলার কেড়ে নেয়। পরের দিন ললিতরা কলেজেরই এক ছাত্রকে তুমুল পেটান। কারণ, ললিতদের সন্দেহ ছিল, মাদকপাচারকারীর সঙ্গে ওই ছাত্রের যোগসাজশ ছিল। মাদক পাচার, অপহরণ, নিগ্রহ-সহ একাধিক অভিযোগে জড়িয়ে পড়েন ললিত। শেষ পর্যন্ত সেই প্রভাবশালী বাবাকেই আসরে নামতে হয়।
তখনও আমেরিকায় পড়াশোনার পাট শেষ হয়নি। প্রেমে পড়ে গেলেন ললিত। প্রেমিকা ছিলেন মিনাল সাগরানি। মিনাল তখন বিবাহিতা, ললিতের থেকে ন’বছরের বড়। এবং সব থেকে বড় কথা, মিনাল তাঁর মায়ের বন্ধু। শুধু তা-ই নয়, মিনাল তখন অন্তঃসত্ত্বা। থাকেন নিজের পরিবারের সঙ্গে কখনও লন্ডনে, কখনও সৌদি আরবে, কখনও নাইজিরিয়ায়।
মিনাল বিয়ে করেছিলেন নিলাকস সংস্থার কর্ণধার জ্যাক সাগরানিকে। মিনাল যখন সন্তানসম্ভবা, তখনই সৌদি আরবে দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হন জ্যাক। বেশ কয়েক মাস জেল খাটতে হয়। এরপর মিনালের বিচ্ছেদ হতে বিশেষ সময় লাগেনি।
মিনালের বিচ্ছেদে এক দিক থেকে ললিতের রাস্তা পরিষ্কার হলেও অন্য দিকে এই বিয়েতে কিছুতেই রাজি হলেন না ললিতের বাবা-মা। ছোট থেকে ছেলের যত আব্দারই তাঁরা মানুন, এ বার ছেলেকে বোঝান তাঁরা। কিন্তু ছেলের যে এই ‘মার্সিডিজটাও’ দরকার। হুমকি দিলেন, মিনালের সঙ্গে তাঁর বিয়ে না দিলে তিনি পারিবারিক কেচ্ছার হাঁড়ি হাটে ভাঙবেন। বাবা পাল্টা হুমকি দিলেন, এই বিয়ে করলে ললিতকে ত্যাজ্যপুত্র করবেন। তবে ললিত জানতেন, ছেলের নাছোড় মনোভাবের কাছে আরও এক বার হার মানবেন বাবা-মা। সেটাই হল। তাঁরা মিনালের সঙ্গেই ছেলের বিয়ে দিলেন।
ললিতের ছোটবেলার কাহিনি বলে, তিনি বখাটে ছিলেন। সিমলার বিশপ কটন স্কুলেও ললিতের মন বসেনি। পড়াশোনা তো দূরস্থান, প্রচণ্ড খেলা-পাগল ছিলেন, তা-ও নয়। ক্রিকেট একটু-আধটু খেলেছেন। কিন্তু বেশি ভাল লাগত ফুটবল আর টেনিস। প্রিয় ছিলেন পেলে আর বিয়র্ন বর্গ।
ক্রিকেটে ললিতের হাতেখড়ি অনেক পরে। আমেরিকার পাট চুকিয়ে দেশে ফেরার পর। মুম্বইতে পরিবারের কাপড়ের ব্যবসা কিছু দিন সামলানোর পরে ওয়াল্ট ডিজনির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ইএসপিএন-এর পরিবেশনার (ডিস্ট্রিবিউটরশিপ) দায়িত্ব নেন। সেই শুরু। প্রথমে ক্রিকেট নিয়ে ইএসপিএনের তেমন আগ্রহ ছিল না। ললিতই তাদের জোর করে ক্রিকেটে আনেন। তাঁর সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি হয় ইএসপিএন-এর। শেষ পর্যন্ত আর্থিক বনিবনা না হওয়ায় দু’পক্ষই আদালতে যেতে বাধ্য হয়। তত দিনে ইএসপিএন নিজেদের ‘ডিস্ট্রিবিউশন ইউনিট’ তৈরি করে ফেলেছে। মোদি এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হতেই রুপার্ট মার্ডখের স্টার নেটওয়ার্কের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ওয়াল্ট ডিজনি চালু করে ইএসপিএন স্টার স্পোর্টস। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই মার্ডখের সঙ্গে ওয়াল্ট ডিজনির সমস্যা তৈরি হয়। মার্ডখ তখন ললিতকে ইএসপিএন কেনার প্রস্তাব দেন। ললিত তত দিনে টাকা ও গ্ল্যামারসর্বস্ব ক্রিকেটের স্বাদ পেয়ে গিয়েছেন। ঠিক করে ফেলেন, সীমিত ওভারের ক্রিকেট লিগ শুরু করবেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় জগমোহন ডালমিয়ার তৎকালীন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ললিত ঠিক করে ফেলেন, ভারতীয় ক্রিকেটের প্রশাসনে আসতেই হবে। সেই ছোটবেলার জেদ। ললিত প্রথম ধাপ হিসাবে বেছে নেন রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে।
সেখানেও বিতর্ক। ২০০৫ সালে রাজস্থানের ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার নির্বাচনে একটি বিতর্কিত সরকারি অধ্যাদেশ জারি হয়। জনশ্রুতি, তার পিছনে ললিতের হাত ছিল, যার জেরে ললিত কিশোর রুংতা ও তাঁর গোষ্ঠীকে হারিয়ে জয়ী হন। সেই সময় ললিত সব রকম সাহায্য পেয়েছিলেন রাজস্থানের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে শিন্ডের। বসুন্ধরার সঙ্গে ‘অন্য রকম’ সম্পর্কের জন্য সমালোচকরা ললিতের নাম দিয়েছিলেন ‘সুপার চিফ মিনিস্টার’। ঘটনাচক্রে বসুন্ধরাও ললিতের থেকে বছর দশেকের বড়। গ্বালিয়রের রাজ পরিবারের সঙ্গে মোদীদের বন্ধুত্ব বহু বছরের। ফলে বসুন্ধরার সাহায্যে ওই অধ্যাদেশ বার করতে ললিতের সমস্যা হয়নি। সেই জয়ে রাজস্থানের ক্রিকেটে দুর্নীতির পাশাপাশি এমন অভিযোগও উঠেছিল, ললিত-বসুন্ধরা বেআইনি ভাবে রাজস্থানের একাধিক ‘হেরিটেজ হাভেলি’ (বাড়ি) ব্যবসার কাজে লাগিয়েছেন বা বিক্রি করেছেন।
সেই সময় ললিত সাহায্য পেয়েছিলেন শরদ পওয়ারেরও। মহারাষ্ট্রের এই রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে ললিতের রসায়নটা জমিয়ে দিয়েছিলেন পঞ্জাব ক্রিকেটের সেই সময়ের হর্তাকর্তা-বিধাতা আইএস বিন্দ্রা। তা ছাড়া পওয়ার এবং ললিত, দু’জনেরই একটি ব্যাপারে মিল ছিল— ডালমিয়ায় অ্যালার্জি।
ললিতের আইপিএল চালু করার পরিকল্পনা লুফে নেন পওয়ার। শুরু হয়ে যায় আইপিএল। গডফ্রে ফিলিপস, মোদী এন্টারটেনমেন্ট-সহ মোদী এন্টারপ্রাইজের সব ক’টি সংস্থার বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সে থাকা ললিত এমনিতেই ধনকুবের ছিলেন। সমালোচকরা বলেন, আইপিএলের দৌলতেই বেড়েছে তাঁর মার্সিডিজের সংখ্যা, আর্মানি স্যুট, পরে মার্সিডিজ ছেড়ে প্রাইভেট জেট। ছুটি কাটাতে শুরু করেন ফুকেটের বিলাসবহুল আমন রিসর্টে। এক বার ছুটি কাটাতে গিয়ে ললিত ভাড়া নিয়েছিলেন ব্রিটিশ শিল্পপতি জিমি গোল্ডস্মিথের প্রাসাদোপম অট্টালিকা, যিনি ঘটনাচক্রে ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমাইমার বাবা।
ললিতের ইনস্টাগ্রামে ছবির ছড়াছড়ি। কখনও মিনাল ও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে হাভানায় ছুটি কাটিয়ে প্রাইভেট জেটে আয়েশ করার ছবি, কখনও হাভানার ইন্ডিয়ান বিয়ারে সুপার মডেল নায়োমি ক্যাম্পবেলের সঙ্গে ছবি, কখনও প্যারিস হিল্টনের সঙ্গে ছবি। ললিতের আতিথেয়তা থেকে বাদ পড়েননি হলিউড তারকা কেভিন স্পেসিও। আইপিএল দল কেনার জন্য আর এক হলিউড তারকা রাসেল ক্রোর সঙ্গেও কথাবার্তা এগিয়েছিল ললিতের। পরে যে কোনও কারণেই হোক, ক্রো পিছিয়ে আসেন।
প্যারিস হিলটনের সঙ্গে ললিত মোদী ছবি সংগৃহীত
তাতে বিন্দুমাত্র সমস্যা হয়নি ললিতের। নিজের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনদের নানা ভাবে ঢুকিয়ে দেন আইপিএল ব্যবসায়। মিনালের বোন কবিতা ও তাঁর স্বামী সুরেশ চেলারাম তখন রাজস্থান রয়্যালসের অন্যতম মালিক। ললিতের সৎ মেয়ে কারিমা যাঁকে বিয়ে করেছেন, সেই ডাবর পরিবারের ছেলে গৌরব বর্মনের সংস্থা ‘গ্লোবাল ক্রিকেট ভেঞ্চার’ তখন আইপিএলের ডিজিটাল, মোবাইল ও ইন্টারনেট স্বত্ব পায়। গৌরবের ভাই মোহিত তৎকালীন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের অন্যতম শেয়ারহোল্ডার হন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক জয় মেহতাও ললিতের ছোটবেলার বন্ধু। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে ললিত-বিরোধীরা অভিযোগ করতে থাকেন, প্রথম আট ফ্র্যাঞ্চাইজির নিলামের সময় ললিত ঘুণাক্ষরেও এই শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা জানতে দেননি।
ললিতের হাত ধরেই অনলাইন গেমিং এবং লটারি ভারতে প্রবেশ করে। সেখানেও বেশ কিছু আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
ললিত মোদীর জীবনের নাম যদি হয় ‘জেদ’, তবে পদবি ‘বিতর্ক’। এই দুই সঙ্গীকে নিয়েই জীবনের পথে এগোচ্ছেন ললিত। সেই যাত্রায় সমস্যায় পড়লে ললিত স্মরণ করেন রবার্ট ফ্রস্টকে। আওড়ান, ‘আই হ্যাভ প্রমিসেস টু কিপ / অ্যান্ড মাইলস টু গো বিফোর আই স্লিপ।’