চর্চায়: ইউরো ফাইনালের সময় দর্শকে ঠাসা স্টেডিয়াম। ফাইল চিত্র ফাইল চিত্র
ওয়েম্বলিতে গত ১১ জুলাই ইউরো ফাইনালে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। চমকে দেওয়ার মতো এই তথ্য জানিয়েছে ইংল্যান্ডের
গণস্বাস্থ্য দফতর।
ইটালি বনাম ইংল্যান্ডের সেই ম্যাচ স্টেডিয়ামে বসে দেখেছিলেন প্রায় ৬৭ হাজার দর্শক। গণস্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তার মধ্যে ২২৯৫ জনের শরীরে সম্ভবত করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল। যা থেকে ৩,৪০৪ জন জনের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া
যাচ্ছে না।
গণস্বাস্থ্য দফতরের তথ্যের ভিত্তিতেই ইংল্যান্ডের প্রথম সারির এক দৈনিক লিখেছে, ‘‘ইউরো ফাইনালই ছিল কোভিড সংক্রমণকে মারাত্মক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ম্যাচ।’’ প্রসঙ্গত ১৯৬৬-র বিশ্বকাপ ফাইনালের পরে ইংল্যান্ডে এই প্রথম এত বড় মাপের কোনও ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল হয়েছে। গণস্বাস্থ্য দফতরের উপ-চিকিৎসা পরিচালক জেনিফার স্মিথ বলেছেন, ‘‘এক অর্থে ইউরো ফাইনালটা ছিল অনন্য উপলক্ষ। সম্ভবত কোভিড সংক্রমণে কোনও ঘটনা আগামী দিনে কখনও এত ব্যাপক ভাবে প্রভাব ফেলবে না।’’ যোগ করেছেন, ‘‘আমরা যা তথ্য পাচ্ছি তা প্রমাণ করে, মানুষ খুব কাছাকাছি এলে সহজেই এই ভাইরাস বিস্তার লাভ করে। আমরা সবাই আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে উন্মুখ। তাই ইউরো ফাইনাল সবার কাছে সাবধানবাণীর মতো হয়ে থাকা উচিত।’’
চার মাস ধরে সংক্রমণের প্রকৃতি আন্দাজ করতে আরও কিছু খেলা ও অনুষ্ঠানের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে। যার ভিত্তিতে পরিষ্কার, ইউরো ফাইনালের মতো অন্য আর কোনও ঘটনাতেই এতটা ভয়ঙ্কর সংক্রমণ হয়নি। গত জুলাইয়েই সিলভারস্টোনে ব্রিটিশ ফর্মুলা ওয়ান গ্রঁ প্রি তিনদিন ধরে দেখেছিলেন মোট সাড়ে তিন লক্ষ দর্শক। অথচ এ ক্ষেত্রে সংক্রমিতের সংখ্যা মাত্র ৫৮৫ জন। যার মধ্যে ৩৪৩ জনের শরীরে সম্ভবত আগে থেকেই মারণ-ভাইরাস ছিল।