উদ্বেগ: মেয়েকে নিয়ে এখনও বিচ্ছিন্ন হয়ে আছেন সেরিনা। ফাইল চিত্র
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে আগেই মেয়ে অলিম্পিয়াকে নিয়ে স্বেচ্ছাবন্দি হয়েছিলেন তিনি। যা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়েছিলেন টেনিস তারকা সেরিনা উইলিয়ামস। এ বার সেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই মার্কিন এই টেনিস তারকা জানিয়ে দিলেন, বাইরের জগতের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে সামাজিক ভাবে তিনি মেয়েকে নিয়ে দূরত্ব বজায় রাখছেন। একই সঙ্গে প্রতিদিন করোনা-সংক্রমণ সংক্রান্ত নতুন খবরে বাড়ছে তাঁর আশঙ্কাও।
২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতায় জয়ী এই তারকা টেনিস খেলোয়াড় রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর দু’বছরের বাচ্চাকে নিয়ে একাধিক ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। ৩৮ বছর বয়সি সেরিনা যে প্রসঙ্গে বলছেন, ‘‘দীর্ঘ একটা সময় সমাজ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছি মেয়ে অলিম্পিয়া ও নিজেকে। সম্ভবত দু’সপ্তাহ হয়ে গেল এই নিয়মেই চলছি। নানা রকম খবর শুনছি। আর তাতে আমার আশঙ্কা আরও বাড়ছে।’’ যোগ করেন, ‘‘কেউ হাঁচি দিলে বা কাশলেই আমাকে আতঙ্ক তাড়া করছে। এমনকি মেয়েকে নিয়ে বাড়ির আশেপাশে কোথাও ঘুরতেও বেরোচ্ছি না। ছোট্ট অলিম্পিয়া যদি হঠাৎ কাশে তা হলে আমি ওর দিকে কোণাকুণি তাকাচ্ছি। এতেই ও বুঝতে পারছে, মা রেগে গিয়েছে। পরে অবশ্য বাচ্চা মেয়েটার জন্য আমার খারাপও লাগছে।’’
সেরিনা নিজের কন্যা সম্পর্কে চিন্তা ব্যক্ত করে আরও বলেন, ‘‘মেয়েকে দেখলে আমার সর্বক্ষণই মনে হচ্ছে, ও কি সুস্থ আছে? কোনও সংক্রমণ হয়নি তো বাচ্চাটার দেহে? আমাকে কি কিছু করতে হবে ওর জন্য? আসলে এই সব প্রশ্ন আমাকে তাড়া করছে একটাই কারণে। তা হল, সংক্রমণের বিরুদ্ধে কী ভাবে লড়াই করতে হবে, তা আমার জানা নেই। সামাজিক জীবন থেকে দূরে থাকায় আমি বিশ্রামে নেই। বরং এতে আমার আরও অবসাদ বাড়ছে।’’
সেরিনা এ দিন জানিয়েছেন, প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ অতটা গুরুতর হবে না। যে সম্পর্কে এ দিন এই মার্কিন টেনিস তারকা বলেন, ‘‘এখন বুঝতে পারছি, আমার ধারণা ভুল ছিল। যখন ইন্ডিয়ান ওয়েলস প্রতিযোগিতা বাতিল হয়ে গেল, তখন আমার অদ্ভুত লেগেছিল। কিন্তু সঙ্গে এটাও মনে হয়েছিল বিশ্রাম পেয়েছি। দারুণ কয়েক দিন সময় কাটবে। কিন্তু তার পরে যখন একের পর এক প্রতিযোগিতা বাতিল হতে শুরু করল, তখন আশঙ্কা বাড়ল। এখনও ভয় কাটেনি।’’
নিজের এই অভিজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি, ভক্তদের কাছে সেরিনার আবেদন, ‘‘চিকিৎসক ও প্রশাসনের নিয়ম মেনে চলুন। সংক্রমণ এড়াতে ঘরে থাকুন। তা হলেই এই লড়াই জেতা যাবে।’’