Coronavirus

এ বার দিবালা পরিবারেও ঢুকে পড়ল ভাইরাস

দিন কয়েক আগেই ইটালীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল দিবালা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২০ ০৩:২৮
Share:

আক্রান্ত: বান্ধবীর সঙ্গে এই ছবি পোস্ট করলেন দিবালা। টুইটার

ড্যানিয়েল রুগানি ও ব্লেইজ মাতুইদির পরে ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর আরও এক সতীর্থ। জুভেন্টাসের আক্রান্ত সেই ফুটবলার হলেন লিয়োনেল মেসির দেশ আর্জেন্টিনার পাওলো দিবালা। আক্রান্ত হয়েছেন দিবালার বান্ধবী ওরিয়ানা সাবাতিনিও।

Advertisement

শনিবার এ খবর দিবালা নিজেই পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে তিনি লেখেন, ‘‘আমি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।’’ এ দিন ইনস্টাগ্রামে বান্ধবীর সঙ্গে তাঁর ছবি পোস্ট করে দিবালা লেখেন, ‘‘সকলকে জানাতে চাই, কিছু আগেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এল। তাতে দেখা যাচ্ছে, ওরিয়ানা ও আমি করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছি। তবে ভাল অবস্থাতেই রয়েছি।’’

দিন কয়েক আগেই ইটালীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল দিবালা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। কিন্তু লাতিন আমেরিকায় এই খবর প্রচারিত হওয়ার পরে দিবালা বলে দিয়েছিলেন, তিনি সংক্রমিত হননি। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, যে হেতু করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পরে রোগলক্ষণ প্রকাশ হতে সময় লাগে, তাই হয়তো ঠিক রিপোর্ট পেতে দেরি হল। এ দিবালার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বক্তব্য জানার পরেই তাঁর ক্লাব জুভেন্টাসও টুইট করে জানায়, ‘‘দিবালার পাশেই রয়েছি আমরা। ১১ মার্চ থেকেই ওকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।’’

Advertisement

তবে শুধু দিবালা বলেই নয়। ইটালি ফুটবল এখন করোনা-আতঙ্কে কাঁপছে। তেমনই এক মুখ আলেসান্দ্রো ফাবালি। তিনি খেলেন সেরি-আ তৃতীয় ডিভিশনের ক্লাব রেজ্জে আউদাচের হয়ে। গৃহবন্দি ডিফেন্ডার ফাবালি বিবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘২ মার্চের কথা বলছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে শরীরে অস্বাভাবিক অস্বস্তি টের পেলাম। দেখলাম গায়ে জ্বর। মাথায় খুব ব্যথা। চোখ জ্বলে যাচ্ছে। তখনই বুঝে যাই, আমার কী হয়েছে।’’ যোগ করেন, ‘‘বাড়িতে ফোন করে চমকে গেলাম এটা শুনে যে, পরিবারের সকলের প্রায় একই ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। কয়েক দিন আগে পরিবারের সবাই একসঙ্গে নৈশভোজে করেছিলাম। তখন থেকে করোনাভাইরাস নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। আমরা যেখানে থাকি, সেখানেও অনেকে সংক্রমিত হয়েছিলেন। জ্বর আসার পরে বুঝলাম আমরাও আক্রান্ত। কিছু করার নেই।’’

ফাবালি মনে করেন, চিকিৎসা চালানোর সময় বিচ্ছিন্ন থাকাটাই মানসিক ভাবে সব চেয়ে কঠিন পরীক্ষা। বিশাল বাড়ির একটা ঘরে ফাবালি নিজেকে স্বেচ্ছাবন্দি করেন। বাড়ির বাকি অংশে একা থাকতেন তাঁর স্ত্রী মিরিয়াম। যিনি প্রত্যেক দিন ফাবালির দরজার সামনে রেখে যেতেন খাবারের প্লেট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement