চর্চায়: এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চান না রাজীব মেটারা। ফাইল চিত্র
বিশ্ব জুড়ে মারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জেরে আসন্ন টোকিয়ো অলিম্পিক্স প্রসঙ্গে ধীরে চলো নীতি নিল ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা। সোমবারেই কানাডা জানিয়ে দিয়েছে, করোনা-সংক্রমণের অতিমারিতে প্রথম দেশ হিসেবে টোকিয়ো অলিম্পিক্স থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছে তারা। কিন্তু ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা এ দিন জানিয়ে দিয়েছে, এখনই এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়ে কমপক্ষে এক মাস অপেক্ষা করতে চান তাঁরা। দিন কয়েক আগেই ব্রাজিল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকে টোকিয়ো অলিম্পিক্স পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। ব্যক্তিগত ভাবেও বেশ কয়েক জন তারকা খেলোয়াড়ও অলিম্পিক্স পিছিয়ে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিলেন। এ দিন কানাডার এই অলিম্পিক্স থেকে নাম প্রত্যাহারের ঘটনায় এ বার সেই আবেদন তুলে ধরে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির উপর চাপ আরও বাড়াতে পারে অন্য দেশগুলো। এমনই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
যদিও ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা এ দিন জানিয়ে দিয়েছে, এ ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার প্রেসিডেন্ট নরিন্দর বাত্রা সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘‘ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমাদের খেলোয়াড়, কোচ ও কর্তাদের সুস্থ ও নিরাপদে রাখার ব্যাপারটাই প্রাধান্য পাবে। যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে সেখানে আমাদের অ্যাথলিটদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। এ ব্যাপারে সবাই আশ্বস্ত থাকুন। এই মুহূর্তে প্রতিদিন আমরা পরিস্থিতির উপরে কড়া নজর রেখে চলেছি।’’ বাত্রার পাশাপাশি ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার সচিব রাজীব মেটা বলেন, ‘‘অলিম্পিক্সে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ভারত কী সিদ্ধান্ত নেবে সে ব্যাপারে আগামী চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ অপেক্ষা করা হবে। তার পরে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ও কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
করোনাভাইরাসের দাপটে ইতিমধ্যেই অলিম্পিক্স যোগ্যতা অর্জন পর্বের বেশ কিছু প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়েছে। যদিও রাজীব মেটা এ দিন বলেন, ‘‘করোনা-সংক্রমণের জেরে ভারতের চেয়েও খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। তবে ভারত এই মুহূর্তে দারুণ ভাবে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে লড়াই করছে। ফলে আগামী কয়েকটি সপ্তাহ গুরুত্বপূর্ণ।’’