সহায়তা: খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। নিজস্ব চিত্র
ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ময়দানের বহু ক্রিকেটার এখনও ক্যাপ্টেন বলেই ডাকেন তাঁকে। দীর্ঘদিন বাংলাকে নেতৃত্ব দেওয়ার পরে এখন তিনি রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। তবুও মাঠের সঙ্গে যুক্ত কাউকে ভুলতে পারেননি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সারা দেশ ২১ দিনের জন্য লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে খাবার জোগাড় করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন ময়দানের মাঠকর্মীরা। প্রত্যেকটি ক্যান্টিনও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মাঠকর্মীদের পাশে দাঁড়ালেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্ল।
বিভিন্ন ক্লাবের মাঠকর্মীদের জন্য তিনি দান করলেন ছয় বস্তা চাল, ডাল, আলু ও বিভিন্ন সবজি। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার জন্য আগেই তিনি তিন মাসের বেতন দান করেছেন। এ বার পণ্যসামগ্রী দিতেও এগিয়ে এলেন তিনি। লক্ষ্মী বলছিলেন, “ক্রিকেটজীবনে এই মাঠকর্মীরা আমার প্রচুর আবদার মিটিয়েছেন। ভিজে মাঠ নিমেষে শুকনো করে দিয়েছেন। ভাল উইকেট তৈরি করে দিয়েছেন। এই করোনা তাঁদের মুখ থেকে অন্ন কেড়ে নিচ্ছে। তা দেখে সাহায্য না করে পারি? মুখ ঘুরিয়ে থাকতে পারব না।”
কোন কোন ক্লাবের কর্মীদের পণ্যসামগ্রী বিতরণ করলেন? লক্ষ্মী বলছিলেন, “ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মীরা ছিলেন, মোহনবাগান ক্লাবের মাঠকর্মীরাও এসেছিলেন। তাঁদের হাতে এই সমস্ত সামগ্রী তুলে দিয়ে বলে দেওয়া হয়েছে, নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে। বেশি ভিড় হতে দিইনি। জমায়েতের উপরেই তো এখন রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।” লক্ষ্মীর আরও বার্তা, “আপনারাও যদি বাড়ির পাশে এ ধরনের কোনও সমস্যা দেখেন, তা হলে নিজে বাড়ি থেকে না বেরিয়ে স্থানীয় থানায় ব্যাপারটা নিজের ফোন নম্বর দিয়ে। তাঁরাই সাহায্য করার উপায় আপনাদের বলে দেবেন। যতটা সম্ভব ঘরে থাকুন। করোনার হাত থেকে বাড়িতে সময় কাটান। সুস্থ থাকুন।”
এ দিকে, রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সাহায্য করেছেন বাংলার ক্রিকেটারেরাও। অনুষ্টুপ মজুমদার, অভিষেক রামন, এমনকিস কোচ অরুণ লালও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। অনুষ্টুপ বলছিলেন, “আমাদের কঠিন সময়ে বাংলার সমর্থকেরা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের কঠিন সময়ে আমরা পাশে দাঁড়াতে চাই।”