Coronavirus

সক্রিয় জুয়াড়িরা, সতর্ক আইসিসি, সাবধানি ভারত

কিন্তু ভারতীয় বোর্ডের দুর্নীতি-দমন শাখার প্রধান অজিত সিংহ এই আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২০ ০৫:৩৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা-আতঙ্কে সব ধরনের খেলা বন্ধ। মার্চের পর থেকে কোনও ক্রিকেট ম্যাচও হয়নি কোনও দেশে। প্রত্যেক ক্রিকেটারের হাতে এখন প্রচুর সময়। যার অনেকটাই কাটছে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপচারিতার মাধ্যমে। কিন্তু এই পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বন্ধুত্ব মজবুত করছে জুয়াড়িরা, ধারণা আইসিসি-র দুর্নীতি-দমন শাখার।

Advertisement

কিন্তু ভারতীয় বোর্ডের দুর্নীতি-দমন শাখার প্রধান অজিত সিংহ এই আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, কোনও রকম সন্দেহজনক কিছু দেখলেই দুর্নীতি দমন শাখাকে তখনই জানিয়ে দিচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা।

কিন্তু আইসিসি কেন বিপদের আশঙ্কা করছে? ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা কতগুলো যুক্তি দিয়েছে। যেমন, খেলা বন্ধ থাকায় ক্রিকেটারেরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। অনেক দেশের ক্রিকেট বোর্ডই এই অবস্থায় পুরো পারিশ্রমিক দিতে পারছে না। তাই এই পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের সঙ্গে ফের জুয়াড়িদের সম্পর্ক গড়ে ওঠার একটা আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। আইসিসি-র দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল রবিবার বলেন, “আমরা লক্ষ্য করছি, পরিচিত জুয়াড়িরা এখন ক্রিকেটারদের সঙ্গে সম্পর্কটা গড়ে তোলার জন্য এই সময়টা কাজে লাগাচ্ছে। পরে খেলা শুরু হলে যে সম্পর্কটা কাজে লাগাতে পারবে।”

Advertisement

মার্শাল আরও বলেন, “এখন অনেক ক্রিকেট বোর্ডই পুরো পারিশ্রমিক দিতে পারছে না। যে কারণে আর্থিক সঙ্কটে পড়তে পারে অনেকে। জুয়াড়িরা এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি তুলে ধরার। আশা করি, ক্রিকেটারেরাও কোনও ভাবে এই ফাঁদে পা দেবে না।”

আরও পড়ুন: রোনাল্ডোর চেয়ে মেসিকেই এগিয়ে রাখছেন বেকহ্যাম

ভারতীয় বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান অজিত সিংহ এই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “ভারতীয় ক্রিকেটারদের বলে দেওয়া হয়েছে এই সময়ে কী ভাবে জুয়াড়িরা যোগাযোগ করতে পারে। প্রথমে তারা ভক্তের মতো ব্যবহার করবে। তার পরে সেই ক্রিকেটারের সঙ্গে দেখা করতে চাইবে, তার পরিচিত কারও সাহায্যে। এ ধরনের কোনও পরিস্থিতির মধ্যে পড়লেই দুর্নীতি দমন শাখাকে জানায় ক্রিকেটারেরা। তার পরে আমরা ব্যাপারটা তদন্ত করে দেখি।”

ক্রিকেটারদের মধ্যে অনেকেই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের সঙ্গে প্রশ্ন-উত্তরের খেলায় মেতে উঠছেন। লাইভ চ্যাট শো-এ গল্প করছেন কেউ কেউ। সেই তথ্য কি দুর্নীতি দমন শাখার কাছে থাকে? অজিত সিংহের কথায়, “আমরা তথ্য সংগ্রহ করার যতটা সম্ভব চেষ্টা করি। লকডাউনের জন্য ক্রিকেটারেরা বাইরে কাদের সঙ্গে মেলামেশা করছে, সেটা দেখার দরকার পড়ছে না। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের গতিবিধি সম্পর্কে আন্দাজ থাকে আমাদের। সন্দেহজনক কোনও ইঙ্গিত পেলে অবশ্যই তদন্ত হয়।” জুয়াড়িদের মধ্যে অনেকে ক্রিকেটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে না। ক্রিকেটারদের বন্ধু অথবা পরিচিতের মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। ভারতীয় ক্রিকেটারেরা সে ধরনের সম্ভাবনা নিয়েও ওয়াকিবহাল। অজিতের কথায়, “অনেক জুয়াড়ি নিজেদের পরিচয় গোপন করে ক্রিকেটারদের কাছে আসার চেষ্টা করে। অনেকে ক্রিকেটারের বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আগে বন্ধুত্ব করে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ ধরনের কিছু হলেই ক্রিকেটারেরা আমাদের জানায়।”

আরও পড়ুন: লিসবনের দুঃসহ স্মৃতি সুনীলের

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement