ফাইল চিত্র।
ডার্বি তো নয়ই, আই লিগের ম্যাচ কবে শুরু হবে তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হল। লিগ শেষ পর্যন্ত শেষ হবে কি না তা নিয়ে ফেডারেশনের অন্দরমহলেই প্রশ্ন উঠে গেল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ত্রীড়া মন্ত্রকের নতুন নির্দেশিকা আসার পরেই।
করোনাভাইরাস যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য প্রথমে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব খেলা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল ক্রীড়ামন্ত্রক। সেই নির্দেশ বৃহস্পতিবার দীর্ঘায়িত করে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রায় এক মাসের উপর বন্ধ থাকবে আই লিগ-সহ সব প্রতিযোগিতা। ফেডারেশন সূত্রের খবর, আই লিগ শেষ করতে চার সপ্তাহের মত সময় লাগবে। যদি এপ্রিলের শেষেও নিষেধাজ্ঞা উঠে যায় তা হলে ৩১ মে-র মধ্যে লিগ শেষ হয়ে যাবে। ফেডারেশনের এক কর্তা দিল্লি থেকে ফোনে বললেন, ‘‘মে মাসেও যদি সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে তা হলে লিগ বাতিল করে দিতে হবে।’’ বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, বিশেষ জরুরি সভা ডেকে অথবা স্কাইপে দ্রুত আলোচনা করে আই লিগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চায় ফেডারেশন। এ দিন রাতে প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে ভাষণ শোনার পরে কর্তাদের মনে হচ্ছে লিগ হয়তো বাতিলই করতে হবে।
নতুন নির্দেশিকা আসার পরে মোহনবাগান তাদের অনুশীলন ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনা অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, ‘‘আই লিগ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ হয় তত ভাল।’’ পাশাপাশি পরের মরসুমে তিনি কেরল ব্লাস্টার্সে যোগ দিতে চলেছেন বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সবুজ মেরুনের স্পেনীয় কোচ বলে দিয়েছেন, ‘‘কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে কথা হলেও কোথাও এখনও সই করিনি। মোহনবাগানের সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’’ অন্য দিকে ইস্টবেঙ্গলও আপাতত ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনুশীলন স্থগিত রেখেছে। মারিয়ে রিভোরার দলও হয়তো মোহনবাগানের পথেই হাঁটবে। কারণ অনুশীলন করলেই সেখানে জমায়েত হবে। এবং সেটা সরকারের নির্দেশের বিরোধী হবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, কতদিন অনুশীলন না করে বসে থাকবেন আই লিগের ফুটবলাররা? মহমেডানের মতো আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের দলগুলির অবস্থা আরও খারাপ। তাদেরও আর্থিক অবস্থা খারাপ। অথচ কোচ-ফুটবলারদের বসিয়ে বেতন দিতে হচ্ছে। সবাই তাই তাকিয়ে রয়েছে ফেডারেশনের দিকেই।
এ দিকে আনন্দবাজারের খবরের জেরে বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হল ইস্টবেঙ্গলের কাফেটেরিয়া। এ দিন লাল-হলুদ তাঁবুতে গিয়ে দেখা গেল সেখানে কোনও লোকজন নেই। ঝাঁপ বন্ধ। অন্য দুই প্রধান মোহনবাগান এবং মহমেডান অবশ্য আগেই তাঁবুতে জমায়েত আটকাতে ক্যান্টিন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ময়দানে সিএবি ক্রিকেট লিগ এবং হকি লিগ বন্ধ। ফলে বেশির ভাগ ক্যান্টিনই কার্যত বন্ধ। দু’একটি টিম-টিম করে চলছে। তাদের উপরও নজর রাখছেন সেনারা। এ দিকে, নথিভুক্ত ক্লাবগুলিকে তিনটি করে মুখাবরণ দেওয়ার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ রুখতে ময়দানের বিভিন্ন তাঁবুতে থাকা মালিদের মধ্যেও তা বিলি করতে শুরু করল আইএফএ।