ফুরফুরে: সাংবাদিক বৈঠকে রানি এবং মনপ্রীত। ছবি: প্রেম সিংহ
করোনা অতিমারির জন্য জাতীয় শিবিরে তাঁদের একসঙ্গে থাকতে হয়েছে লকডাউন পর্বে। যা টোকিয়ো অলিম্পিক্সের আগে দলের মধ্যে আরও একতা বাড়াতে সাহায্য করেছে বলে মনে করেন মনপ্রীত সিংহ।
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে জাতীয় হকি দলের অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘গোটা নিভৃতবাস পর্বটা আমরা শিবিরে কাটাই। তাই অলিম্পিক্সে যাওয়ার আগে আমরা ভাবি, অনেক ত্যাগ করেছি। নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে নিশ্চয়ই পদক নিয়ে ফিরতে পারব।’’
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘পেপটক’ দারুণ কাজে দিয়েছিল বলে মন্তব্য করলেন মনপ্রীত। সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে হেরে যাওয়ার পরে ব্রোঞ্জের ম্যাচের জন্য ভারতীয় দলকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং ফোন করে কথা বলেছিলেন অধিনায়ক মনপ্রীত ও কোচ গ্রাহাম রিডের সঙ্গে। ‘‘ওঁর কথায় আমরা ইতিবাচক শক্তিটা ফিরে পাই। তার পরেই নিজেদের বলি, আর একটা সুযোগ পাচ্ছি। তা কাজে লাগাতে না পেরে খালি হাতে ফিরলে আফসোসটা সারা জীবন থেকে যাবে।’’
টোকিয়ো অলিম্পিক্স নিয়ে এ দিন প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মহিলা দলের অধিনায়ক রানি রামপালও। বলেছেন, ‘‘অভিজ্ঞতা না থাকলে হকিতে খুব ভাল কিছু করা যায় না। রিয়োতে আমরা ১২ নম্বরে শেষ করেছিলাম। সেটা খুবই হতাশার ব্যাপার ছিল। কিন্তু ওখানকার অভিজ্ঞতাই আমাদের পরবর্তী সময় কাজে এসেছে। বলা যায়, ওটা একটা টার্নিং পয়েন্টের মতো। সেটা না হলে টোকিয়োয় আমাদের দল কিছুতেই এত ভাল খেলত না।’’