প্রতীকী ছবি।
শতবর্ষ পূর্ণ হওয়ার ঐতিহাসিক দিবসের চব্বিশ ঘণ্টা আগে ফের বিতর্কের মুখে ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার সকাল থেকে ক্রীড়া মহল উত্তাল হয়ে ওঠে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন ও আইএসএল কর্তৃপক্ষ এফএসডিএল-কে দেওয়া ভারতে ফুটবলারদের সংগঠন (এফপিএআই)-এর একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে।
সংগঠনের জেনারেল ম্যানেজারের সই করা চিঠিতে লেখা রয়েছে, ইস্টবেঙ্গলের ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে মর্যাদা দিয়ে যেন তাদের আইএসএলে খেলতে দেওয়া হয়। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরেই একই ফুটবলারদের সংস্থার প্রেসিডেন্ট এবং প্রাক্তন তারকা রেনেডি সিংহ পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বলেন, তাঁকে না জানিয়েই এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, কিছু ফুটবলারের চাপে পড়ে চিঠি দিয়েছেন সংগঠনের জেনারেল ম্যানেজার। রেনেডি বলেছেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে খেললে ভালই হয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে এফপিএ ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দরবার করবে।’’ সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন সচিবকেও চিঠি দিয়ে রেনেডি বলেন, ‘‘আমাকে না জানিয়েই আগের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমাদের সংগঠন শুধুমাত্র ফুটবলারদের সাহায্য করার জন্য। কোনও ক্লাবের হয়ে তদ্বির করার জন্য নয়।’’ কয়েক দিন আগেই ইস্টবেঙ্গলের সচিবকে প্রাক্তন ফুটবলারেরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে আইএসএলে খেলার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সেটা নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি।
এএফসি-র নিয়ম অনুযায়ী, সমস্ত শর্তপূরণ করেই আইএসএলে খেলতে হবে আই লিগের দলগুলিকে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আর্থিক নিরাপত্তা। অর্থাৎ, অন্তত পাঁচ বছর ফুটবলারদের বেতন-সহ ক্লাব পরিচালনা করার মতো আর্থিক সক্ষমতা যে রয়েছে, তার প্রমাণ দিতে হবে। তার পরে আইএসএলের দরপত্র তুলতে হবে। এখনও পর্যন্ত কোনও শর্তই পূরণ করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। পুরনো বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে ১৭ জুলাই ক্রীড়া স্বত্ব ফেরত পেয়ে গিয়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা। তার পরেও এখনও পর্যন্ত নতুন কোনও স্পনসর জোগাড় করতে পারেননি তাঁরা। ফলে আগামী মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলার সম্ভাবনা কার্যত শেষ।
সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার কর্তাদের কথায়, ‘‘ইস্টবেঙ্গলকে আইএসএলে আসতে হলে প্রতিযোগিতার নিয়ম মেনে সব শর্তপূরণ করেই আসতে হবে। এ সব চিঠিতে কিছু হওয়ার নেই।’’