শ্রীনি-ডালমিয়া। বোর্ড নির্বাচন ঘিরে টানাপড়েন।
শ্রীনিবাসনের মনোনয়নপত্রে কি সই করেছেন জগমোহন ডালমিয়া?
তিনি নিজে বলছেন সই করেননি। কিন্তু বোর্ডসূত্রের খবর, শুধু ডালমিয়া কেন, পূর্বাঞ্চলের ছয় সংস্থাই ফের বোর্ড প্রেসিডেন্টের গদিতে শ্রীনিকে বসানোর জন্য তাঁর মনোনয়নপত্রে নাকি সই করে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ওয়ার্কিং কমিটির জরুরি বৈঠকে থাকা এক বোর্ডকর্তা এমনই দাবি করেছেন বলে বুধবার সংবাদসংস্থা জানায়। এই খবর প্রচারিত হতেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, শ্রীনিবাসন ও বোর্ড প্রেসিডেন্টের আসনের মাঝে আর কোনও ব্যক্তিই নেই। বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে শুধুমাত্র আদালত।
কিন্তু দিনভর তাঁর সই নিয়ে জল্পনায় বিরক্ত সিএবি প্রেসিডেন্ট রাতে যা বললেন, তাতে শ্রীনির বোর্ডের মসনদে বসার অঙ্কটা জটিলই রয়ে গেল। শ্রীনির মনোনয়নে তাঁর সইয়ের খবর অস্বীকার করে ডালমিয়া বলেন, “কেন এই প্রচার করা হচ্ছে আমি জানি না। ১৭ ডিসেম্বর বার্ষিক সভা। ধরে নিচ্ছি সে দিনই হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এখনও ২৯ দিন বাকি। তা হলে এত আগে থেকে শ্রীনিবাসনের মনোনয়নপত্রে সই করতে যাবই বা কেন? এ ব্যাপারে আমি আর কিছুই বলব না।” তাঁর ঘনিষ্ঠমহল অবশ্য অন্য কথাই বলছে।
এ বার বোর্ড প্রেসিডেন্টকে মনোনীত করার দায়িত্ব পূর্বাঞ্চলের ছয় সংস্থার। তারা শ্রীনির মনোনয়নপত্রে সত্যিই সই করে দিয়ে থাকলে যে আর অন্য কেউ তাদের সমর্থন পাবেন না, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। প্রাক্তন বোর্ড প্রধান শরদ পওয়ারের শিবির থেকে সমানে প্রচার করা হচ্ছিল যে, তিনি বোর্ড প্রেসিডেন্টের দৌড়ে শ্রীনিবাসনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেন। পূর্বের সবাই সই করে থাকলে সেই সুযোগ আর তিনি পাবেন না। সে জন্যই কি শ্রীনি শিবিরের এই আগাম প্রচার? প্রশ্ন উঠল এই নিয়েও।
আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকেই এখন তাকিয়ে সবাই। আদালত যদি এই মনোনয়নপত্রকে অবৈধ বলে দেয়, তা হলে আটকে যেতে পারেন শ্রীনি। এ ছাড়া তাঁর সামনে আর কোনও বাধাই নেই বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। এত দিন সিএবি সহজে শ্রীনিকে সমর্থন করার পক্ষে ছিল না বলেই জানত দেশের ক্রিকেটমহল। অরুণ জেটলির সঙ্গে আলোচনা না করে শ্রীনিকে সমর্থন করবেন না বলেও নাকি তাঁকে জানিয়েছিলেন ডালমিয়া। এই পরিস্থিতিতে মনোনয়নে সইয়ের খবর প্রচারিত হতে বেশ অস্বস্তিতেই পড়ে গিয়েছেন সিএবি প্রধান।