প্রতীকী ছবি।
সবর্ভারতীয় সংস্থার চাপে ১৪ বছর ধরে চলা রাজ্যের তিনটি টেবল টেনিস সংস্থার ঝামেলা মিটে গেলেও, তার কাঠামো নিয়েই শুরু হয়ে গেল তীব্র বিতর্ক। একই রাজ্য সংস্থার ছাতার তলায় এসেও কেন আগের মতোই দু’টি আলাদা রাজ্য প্রতিযোগিতা হবে, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। খেলোয়াড়রা এর ফলে বঞ্চিত হবেন জেনেও কেন এটা করা হল, সাংবাদিক সম্মেলনে এসেও তার কোনও জবাব দিতে পারলেন না কর্তারা। এক সংস্থায় কেন দু’জন কোষাধ্যক্ষ, তা নিয়েও শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
পশ্চিমবঙ্গ টিটি সংস্থার সঙ্গে বেঙ্গল টিটি অ্যাসোসিয়েশন মিলেছিল আগেই। সব টুনার্মেন্টে দু’টি সংস্থার খেলোয়াড়রা খেলেছেও। ঝামেলা মিটছিল না শুধু উত্তরবঙ্গ টিটি সংস্থাকে নিয়ে। সবর্ভারতীয় কর্তাদের নির্দেশে তা মিটল দু’দিনের বৈঠকে। তিনটি সংস্থার নামেরই আর অস্তিত্ব থাকল না। এখন থেকে রাজ্য টিটি সংস্থা চলবে নতুন নামে। নতুন নাম হল, ‘বেঙ্গল স্টেট টিটি অ্যাসোসিয়েশন’।
দিল্লি থেকে এটা জানাতে শহরে এসেছিলেন সর্বভারতীয় টিটি সংস্থার কোষাধ্যক্ষ অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের মতো জাতীয় প্রতিযোগিতায় বাংলার ‘এ’ এবং ‘বি’ নামে দু’টি দল খেলবে। বাংলায় প্রচুর খেলোয়াড়। তাই এটা করা হচ্ছে।’’
কিন্তু ঝামেলা শুরু হয় এই দুটি দলের আট জন খেলোয়াড় নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়েই। দু’দলের কর্তারা ঠিক করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের ১৯ টি জেলার দু’হাজার নথিভুক্ত খেলোয়াড়ের মধ্যে থেকে চার জন এবং উত্তরবঙ্গের ১০ জেলার এক হাজার খেলোয়াড় থেকেও চার জন জাতীয় প্রতিযোগিতায় নামবেন।
কেন এই বৈষম্য, তা নিয়েই ওঠে প্রশ্ন। পশ্চিমবঙ্গ টিটি-সচিব শর্মি সেনগুপ্ত বললেন, ‘‘খেলোয়াড়দের স্বার্থে সর্বভারতীয় সংস্থা যা চেয়েছে, তা মেনেছি।’’ আর উত্তরবঙ্গের প্রেসিডেন্ট অলিম্পিয়ান মান্তু ঘোষ বললেন, ‘‘শিলিগুড়িতে অনুশীলনের স্টেডিয়াম নেই। তা সত্ত্বেও অনেক খেলোয়াড় উঠছে। দুই সংস্থা মিলে গেলেও আমাদের কোনও সমস্যা হচ্ছে না বলে সব মেনেছি।’’ ঠিক হয়েছে, নতুন কমিটি নির্বাচিত হবে পশ্চিমবঙ্গ টিটি সংস্থার ৭ জন থাকলে উত্তরবঙ্গের তিন জন থাকবে— এই পদ্ধতিতে।