অভিনব: ভারতের অনুশীলনে ব্যবহার করা নানা রঙের বল। নিজস্ব চিত্র
ইডেনে সোমবার দিনটাই যেন ছিল অভিনবত্বের। অশ্বিনকে লেগস্পিন বল করতে দেখা গেল। বৈচিত্র আনার জন্য যা অনেক দিন ধরেই অনুশীলন করে যাচ্ছেন ভারতের এক নম্বর স্পিনার।
এর পর আর একটি অদ্ভুত ব্যাপার দেখা গেল অজিঙ্ক রাহানের নেটে ব্যাটিং করার সময়। লাল, নীল, সবুজ, হলুদ— নানা রংয়ের রাবারের বলে প্র্যাকটিস করছিলেন তিনি। কী ব্যাপার? কেন এমন অনুশীলন?
খোঁজ নিয়ে জানা গেল যে, এটাকে বলা হয় ‘ফোকাস প্র্যাকটিস’। অর্থাৎ, ব্যাটসম্যানের ফোকাস বা মনঃসংযোগ বাড়ানোর জন্য এটা করা হয়। নানা রংয়ের বলের নানা অর্থও আছে। এই বলগুলো ছুড়ে ছুড়ে ব্যাটসম্যানকে ব্যাটিং প্র্যাকটিস দেন দলের ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার। এক-এক রকম বলের জন্য এক-এক রকম স্ট্রোক নিতে হবে। ধরা যাক, লাল বল ছোড়া হল। ব্যাটসম্যানকে হয়তো রক্ষণাত্মক শট খেলতে হবে। হলুদ বল ছোড়া হলে আবার আর এক রকম শট। এ-ও জানা গেল যে, ভারতীয় দলে এমন অনুশীলন সাম্প্রতিককালে শুরু হয়েছে এবং অনেকেই মনঃসংযোগ বাড়ানোর জন্য এটা করছেন।
আরও পড়ুন: চোট সারাতে নিজে বিশ্রাম চান হার্দিক
ভারতীয় দলের অনুশীলনে অনেককে এ দিন রিভার্স সুইপ মারতেও দেখা গেল। শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের পাল্টা আক্রমণের জন্য এই রণনীতি নেওয়া হতেই পারে। এমনিতেই স্পিনারদের বিরুদ্ধে সুইপ খুব ধারালো অস্ত্র হতে পারে। শ্রীলঙ্কা দলে বাঁ হাতি রঙ্গনা হেরাথ আছেন। চায়নাম্যান বোলার লক্ষ্মণ সান্দাকান আছেন। এই দু’জনকেই তাঁরা শ্রীলঙ্কার মাটিতে খেলে এসেছেন। তবে ইডেনের পিচে সোমবার পর্যন্ত যে রকম ঘাস দেখা গিয়েছে, তা যদি থেকে যায় তাহলে হেরাথদের নিয়ে ততটা চিন্তার হয়তো কিছু নেই। তখন শ্রীলঙ্কার পেসারদের নিয়েই বেশি ভাবতে হবে। দীনেশ চণ্ডীমলের দলে তিন জন গতিসম্পন্ন পেসারও আছেন। তবে সবুজ পিচ থাকলে নুয়ান প্রদীপের অভাব খুবই অনুভব করতে পারেন বিদেশিরা।