কোকো গফ। —ফাইল চিত্র।
‘কার্ডিও পালমোনারি রিসাটিটেশন’ বা ‘সিপিআর’ এমন একটি জীবনদায়ী প্রক্রিয়া যা হৃদ্রোগে আক্রান্ত মানুষকে বাঁচিয়ে তুলতে পারে। আমেরিকার টেনিস তারকা কোকো গফ মনে করেন এই পদ্ধতি সকলের শেখা উচিত। তিনি নিজেও সিপিআর দিতে জানেন।
ওয়াশিংটন ওপেনে খেলছেন গফ। শুক্রবার তাঁর ম্যাচে এক দর্শক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। গফ ভেবেছিলেন যে, সেই দর্শক হৃদ্রোগে আক্রান্ত। তিনি নিজে তৈরি ছিলেন সিপিআর দেওয়ার জন্য। যদিও পরে জানা যায় সেই দর্শক হৃদ্রোগে আক্রান্ত নন। ৬-১, ৬-২ সেটে জিতে কোকো গফ বলেন, “আমি সব চেয়ে আগে জানতে চাই উনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত কি না। আমি সিপিআর দিতে জানি। তাই আমাকে যদি ওদের প্রয়োজন হয় সেই জন্য, আমি তৈরি। আমার এই কোর্স করা আছে। আমি রেফারিকে তাই জিজ্ঞেস করেছিলাম, যে হৃদ্যন্ত্রে কোনও সমস্যা হয়েছে কি না। তবে ওঁর সেই ধরনের কোনও সমস্যা হয়নি এবং উনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। এই স্টেডিয়ামে যাঁরা এসেছেন, সকলের সিপিআর দেওয়ার পদ্ধতি জানা উচিত। মাত্র ৯০ মিনিট প্রয়োজন হয় শেখার জন্য।”
হঠাৎ হৃদস্পন্দন থেমে গিয়ে আচমকা মৃত্যুর খবর প্রায়শই শোনা যায়। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে ‘সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ’। পথঘাটেই হোক বা বাড়ি কিংবা অফিসে যখন তখন হৃদস্পন্দন থেমে যেতে পারে হার্ট কমজোরি থাকলে। সেই সময় যতটা দ্রুত সম্ভব হার্ট চালু করে দিলে আচমকা মৃত্যু ঠেকিয়ে দেওয়া যায়।
চিকিৎসকদের মতে, কাউকে আচমকা অজ্ঞান হয়ে যেতে দেখলে প্রথমে দেখে নিতে হবে তার শ্বাসপ্রক্রিয়া চলছে কি না। যদি দেখা যায় অচেতন মানুষটির শ্বাস বন্ধ এবং নাড়ির গতিও ক্ষীণ, তখন দ্রুত বিশেষ পদ্ধতিতে হার্ট মাসাজ করলে প্রায় ৭০- ৭৫ শতাংশ মানুষকে সে যাত্রায় বাঁচানো যায় বলে দাবি হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞদের। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে ‘কার্ডিও পালমোনারি রিসাটিটেশন’ বা ‘সিপিআর’।