ধোনির সঙ্গে যুগলবন্দিতে ভারতকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন কার্স্টেন। —ফাইল চিত্র।
২০১১ সালে তাঁর কোচিংয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। সেই তিনিই কিন্তু আইপিএল-এর বিশ্বে ডাহা ফেল। গ্যারি কার্স্টেন জানাচ্ছেন, আইপিএল-এ প্রথম দিন থেকেই চাকরি হারানোর ভয় থাকে। প্রথম দিন থেকেই কোচের পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখা হয়।
দিন কয়েক আগেই কার্স্টেন জানিয়েছিলেন, ধোনির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা। গুরু-শিষ্যের যুগলবন্দিতে ২৮ বছর বাদে ভারত আবার বিশ্বকাপ জেতে। এ হেন কার্স্টেন দিল্লি ক্যাপিটালস ও দিল্লি ডেয়ারডেভিলস— দুই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে থাকলেও বরখাস্ত হন।
২০১৮ সালে ব্যাটিং কোচ হিসেবে যোগ দেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে। সেই সময়ে নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ড্যানিয়েল ভেট্টোরি আরসিবি-র হেড কোচ ছিলেন। তিনি চাকরি ছাড়ার পরে কার্স্টেন দলের দায়িত্ব নেন। কিন্তু সেখানেও তিনি ব্যর্থ হন।
আরও পড়ুন: বিশেষ পাক ফ্যানের চিঠি কাম্বলিকে পৌঁছে দিতেন রশিদ লতিফ!
তাঁর জায়গায় কোচ করে আনা হয় সাইমন কাটিচকে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার জাতীয় দল ও আইপিএল-এ কোচিং করানোর পার্থক্য তুলে ধরে বলছেন, ‘‘সব চেয়ে বড় পার্থক্যটা সময়ের। বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে দল তৈরি করতে হয়। তাদের সংস্কৃতিও আলাদা। ফলে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সময়ের দরকার। সেটা আইপিএল-এ পাওয়া কঠিন।’’
আইপিএল-এ প্রথম ম্যাচ থেকেই চাপ অনুভব করতে শুরু করেন ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচরা। সেই প্রসঙ্গে কার্স্টেন বলছেন, ‘‘আইপিএল-এ প্রথম ম্যাচ থেকেই চাকরি হারানোর ভয় থাকে। হাতে সময় থাকে খুব অল্প। অথচ ভাল ফল করার চাপ সব সময়ে থেকে যায়। আর সেই চাপ একসময়ে চাকরিতে ইতি টেনে দেয়।’’