আগ্রাসী: সাংবাদিক সম্মেলনে হার-না-মানা কুম্বলে। ছবি: পিটিআই।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার পর থেকে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের চেয়েও যেটা আলোচনায় বেশি উঠে আসছে, তা হল, পিচ। বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে অনিল কুম্বলেকেও পড়তে হল একই প্রশ্নের মুখে। বেঙ্গালুরু পিচ কেমন দেখছেন, সাংবাদিকদের প্রশ্নে ভারতীয় কোচের হাত থেকে রীতিমতো একটা ফ্লিপারই যেন বেরিয়ে এল।
কী রকম হতে পারে চিন্নাস্বামীর উইকেট? প্রশ্ন শুনেই মুচকি হেসে কুম্বলের উত্তর, ‘‘সত্যি বলতে কী, চিন্নাস্বামীর উইকেট নিয়ে আমি বেশি কিছু জানি না। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে আমি এখানে ছোটবেলা থেকে খেলে এসেছি। কিন্তু এখন বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে যতদূর মনে হয়, পিচে রান থাকবে এবং খেলারও মীমাংসা হবে।’’
কুম্বলে এর পরে বলে দেন, ‘‘নিজের ক্রিকেট জীবনে আমি কখনও পিচ নিয়ে ভাবিনি। পিচের দিকে দেখতামই না। পরে ক্যাপ্টেন বা কোচ হওয়ার সময়ও একই কথা বিশ্বাস করে এসেছি।’’ কিন্তু টিম নিয়ে কী ভাবছেন? পাঁচ ব্যাটসম্যানে খেলবেন? নাকি একজন বোলার বসিয়ে বাড়তি ব্যাটসম্যান? কুম্বলে বলছেন, ‘‘আমাদের সঠিক টিমটা বাছতে হবে। এমন টিম যেটা আমাদের টেস্ট জেতাতে পারবে। আমাদের যদি মনে হয় চার বোলারে টেস্ট জেতা যাবে, তা হলে আমরা চার বোলারেই যাব। না হলে পাঁচ বোলারে।’’
পাঁচ বোলারে খেলা মানে করুণ নায়ার এবং অজিঙ্ক রাহানের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কুম্বলে কিন্তু কোনও রাখঢাক না করেই স্পষ্ট জবাব দিচ্ছেন। ‘‘রাহানেকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নই নেই। গত দু’বছর ধরে রাহানে নিয়মিত রান পাচ্ছে। তবে করুণের জন্য খারাপ লাগছে। ওর দুর্ভাগ্য, তিনশো রানের ইনিংস খেলেও বাদ পড়তে হয়েছে। কিন্তু কিছু করার নেই। টিমের সঠিক কম্বিনেশন না বাছলে ম্যাচ জেতা যায় না। তবে হাতে এই ধরনের বিকল্প থাকাটা কিন্তু দারুণ ব্যাপার,’’ বলেছেন ভারতীয় কোচ।
একই সঙ্গে ভারতীয় কোচ শপথ নিচ্ছেন, পুণের স্মৃতি ভুলে নতুন যুদ্ধে ঝাঁপাতে। বলছেন, ‘‘পুণেতে যা হয়েছে, তা আমরা ভুলে গিয়েছি। ওখানে আমরা মানিয়ে নিতে পারিনি, তাই হেরে গিয়েছি। এখানে আবার জেতার রাস্তায় ফিরতে চাই।’’
আরও পড়ুন:রিভার্স পাবে না স্টার্করা
পিচের পাশাপাশি আরও যে ব্যাপারটা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে, তা হল, ডিআরএস। আপনারা কেন ঠিকঠাক রিভিউ চাইতে পারছেন না? কুম্বলে কিন্তু মানতে নারাজ, তাঁরা রিভিউ নিতে গোলমাল করে ফেলছেন। বলছেন, ‘‘আপনারা বার বার রিভিউয়ের কথা বলছেন। বলছেন, আমরা নাকি সব গোলমাল করে ফেলেছি। কিন্তু আপনারা আগের দু’টো সিরিজ দেখুন। ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশের চেয়ে আমরা কিন্তু ডিআরএস-কে ভাল ভাবে কাজে লাগিয়েছিলাম। আমার মনে হয় না, চিন্তার কিছু কারণ আছে।’’