নজিরবিহীন ঘটনা ত্রিপুরা ফুটবলে। —টুইটার
খেলার মাঠে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে খেলোয়াড়দের অখেলোয়াড়োচিত আচরণের উদাহরণ গুচ্ছ গুচ্ছ রয়েছে। ভারতীয় ফুটবল হোক বা আন্তর্জাতিক কোনও প্রতিযোগিতা— রেফারির দিকে খেলোয়াড়দের তেড়ে যাওয়া, ধাক্কাধাক্কি করা আকছার ঘটে। কিন্তু বুধবার ত্রিপুরা ফুটবলের ‘এ’ ডিভিশন লিগে আগরতলার উমাকান্ত মাঠে যে ঘটনা ঘটেছে তা কার্যত ভারতীয় ফুটবলে সাম্প্রতিক সময়ে নজিরবিহীন।
নেটমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি দলের ফুটবলাররা এলোপাথাড়ি মারছেন রেফারিকে। কয়েকটা ঘুষি খেয়ে রেফারিও তখন কিছুটা পিছু হটেন। তার পর দেখা যায়, পাল্টা মারতে শুরু করেছেন রেফারিও। এক এক করে খেলোয়াড়ের কাছে গিয়ে হাত পাকিয়ে ঘুষি মারতে দেখা যায় তাঁকে। এই ভিডিয়ো ঘিরেই ত্রিপুরার ক্রীড়া মহলে নিন্দার ঝড় বইতে শুরু করেছে। যে ঘটনায় যারপরনাই বিপাকে ত্রিপুরা ফুটবল সংস্থা।
ত্রিপুরা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রণব সরকার আনন্দবাজার অনলাইনকে বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘গতকাল একটি অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। রেফারির সিদ্ধান্ত ঘিরে মাঠে গোলমাল হয়। খেলোয়াড়রা রেফারির গায়ে হাত তোলেন। তার পর রেফারিও তাঁদের মারধর করেছেন। এ নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। দু’-তিন দিনের মধ্যে আমরা বৈঠক করে গোটা বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’’
প্রণব জানিয়েছেন, ত্রিপুরা রাজ্য লিগের ‘এ’ ডিভিশনে রামকৃষ্ণ সংঘ ও ত্রিবেণী সংঘের খেলা ছিল। ভিডিয়োতে যে দলটির খেলোয়াড়দের মারামারি করতে দেখা যাচ্ছে সেটি ত্রিবেণী সঙ্ঘের বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরা ফুটবল সংস্থার সভাপতি।
ত্রিপুরার খেলাধুলায় মাস দু’য়েক ধরেই সময়টা ভাল যাচ্ছে না। এর আগে ত্রিপুরা রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার দখল নিয়ে দুই যুযুধান দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আগ্নেয়াস্ত্র বেরিয়ে পড়েছিল। যদিও সেই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের বিষয় জড়িয়ে ছিল। এ বার তা নয়।