প্রত্যাবর্তন: গেল ফিরতে পারেন টি-টোয়েন্টি দলে। ফাইল চিত্র।
২৪ ফেব্রুয়ারি: ভারতে এ বছরেই হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেখানে ক্রিস গেলকে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছে। প্রায় দু’বছর বাদে গেল ফিরছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি দলে। মার্চের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিজেদের দেশে সিরিজ রয়েছে ক্যারিবিয়ানদের। সেখানেই প্রত্যাবর্তন ঘটছে গেলের।
একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটের খবর, পাকিস্তান ক্রিকেট লিগ থেকে হঠাৎই ওয়েস্ট ইন্ডিজে ফিরে যাচ্ছেন গেল। দেশের বোর্ড কর্তারা তাঁকে ইঙ্গিত দিয়েছেন, আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাঁকে দলে রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। গেলকে তাই তড়িঘড়ি দেশে ফিরে ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে অন্য সব সদস্যের মতো। ২০১৯-এর অগস্টের পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে কোনও ধরনের ক্রিকেটেই আর খেলতে দেখা যায়নি গেলকে। তাঁর সঙ্গে বরং খটাখটি লেগেই ছিল নিজের দেশের বোর্ড কর্তাদের। তাই অনেকের মনে হচ্ছে, এ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা ভেবে দু’পক্ষই নিজেদের সমস্যাকে দূরে সরিয়ে দলকে অগ্রাধিকার দিতে চাইছে।
২০১৬-তে শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছিল ভারতেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিল সেই প্রতিযোগিতা। করোনা অতিমারির জন্য ২০২০ বিশ্বকাপ হয়নি অস্ট্রেলিয়ায়। তা পরে আয়োজিত হবে ২০২২ সালে। আইপিএল খেলার সুবাদে ভারতে দারুণ জনপ্রিয় গেলকে হয়তো দেখতে পাওয়া যাবে বিশ্বকাপে, এমন খবরে উচ্ছ্বসিত হবেন এ দেশের ক্রিকেট ভক্তরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এখন কায়রন পোলার্ড। তিনিও চাইবেন সেরা দল নিয়ে বিশ্বকাপের আসরে নামতে। গেল যে এখনও কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ‘বস’ হতে পারেন, শেষ আইপিএলেও প্রমাণ মিলেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে হয়ে যাবে এ বছরের আইপিএল। এ বার তা হবে ভারতেই। তাই ক্রিস গেল পুরোমাত্রায় তৈরি হয়ে যেতে পারবেন বিশ্বকাপের জন্য। তিনি যে দেশের হয়ে ফের খেলতে চলেছেন, এই খবর ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে পাক ক্রিকেট মহল থেকে। সেখানেই টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে খেলতে গেল জানিয়েছেন, তাঁকে দেশে ফিরতে হবে। দ্রুত খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, গ্যাংনাম বিশেষজ্ঞ মেরুন জার্সিতে ফিরে আসছেন।
গেলের বয়স এখন ৪১। তা সত্ত্বেও অন্তত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিংকে উপেক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না কারও পক্ষে। ২০১৯ বিশ্বকাপের সময়ে গেল বলেছিলেন, দেশের হয়ে সেটাই তাঁর শেষ ওয়ান ডে টুর্নামেন্ট। যদিও দ্রুতই মত বদল করেন এবং দেশের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে ৪১ বলে ৭২ রানের ঝোড়ো ইনিংসও খেলেন। সে দিনও এমন ভাবে তিনি ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন, ভক্তদের দিকে হাত নেড়েছিলেন, দেখে মনে হয়েছিল দেশের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন। কিন্তু তিনি ‘ইউনিভার্স বস্’— এত দ্রুত শেষ হবেন কী করে!