চেন্নাই থেকে শুরু হল যাত্রী বিমানের উড়ান। রবিবার সকালে হায়দরাবাদ থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার খালি বিমান চেন্নাই পৌঁছোয়। সেখান থেকে যাত্রীদের তুলে নিয়ে উড়ে যায় পোর্টব্লেয়ার। ফিরতি পথে যাত্রীদের চেন্নাইয়ে নামিয়ে আবার যাত্রী নিয়ে হায়দরাবাদ উড়ে যায়। এ দিন এয়ার ইন্ডিয়ার আরও একটি বিমান দিল্লি থেকে চেন্নাই যাতায়াত করেছে।
রবিবার সন্ধ্যায় চেন্নাই বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার ওই দু’টি উড়ান ছাড়াও এ দিন জেট এয়ারওয়েজের এবং ইন্ডিগোর একটি করে বিমান চেন্নাই থেকে উড়েছে। জেট গিয়েছে বেঙ্গালুরু এবং ইন্ডিগোর বিমান যাত্রীদের নিয়ে মুম্বই ঘুরে দিল্লি গিয়েছে। চেন্নাই বিমানবন্দরের অধিকর্তা দীপক শাস্ত্রী এ দিন সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, স্থানীয় এক ছোট বিমানসংস্থা ট্রু-জেট এর বিমানেরও এ দিন রাতে নামার কথা। দীপকবাবু রবিবার সন্ধ্যায় ফোনে বলেন, ‘‘রানওয়ে একেবারে পরিষ্কার। বৃষ্টি হচ্ছে ঠিকই কিন্তু, তার মধ্যে বিমান ওঠানামায় কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। আমরা রানওয়ে ‘মপার’ রেখেছি। ঠিক যে ধরণের যন্ত্র দিয়ে খেলার মাঠে জমা জল সরানো হয় সেই ধরণের যন্ত্র। একটু বেশি বৃষ্টির পরে রানওয়েতে জল জমার প্রবণতা দেখা দিলেই মপার ব্যবহার করা হচ্ছে।’’
প্রতি দিন চেন্নাই থেকে গড়ে ১২০টি বিমান উড়ে যায়। আশা করা হচ্ছে, সোমবার তার ৫০ শতাংশ বিমান উড়বে। দীপক শাস্ত্রী এ দিন জানান, বিমানসংস্থাগুলোরও একটু সময় লাগবে। এক, বৃষ্টি শুরুর আগে থেকে চেন্নাইয়ে যে বিমানগুলি দাঁড়িয়েছিল সেগুলি এখনই হাতে পাবে না বিমানসংস্থাগুলি। রক্ষণাবেক্ষণ করে তবে ওড়ানো যাবে। এমন প্রায় ১৫টি আটকে পড়া বিমানের মধ্যে শনি ও রবিবার মিলে প্রায় ৯টি বিমান ইতিমধ্যেই অন্যত্র উড়ে গিয়েছে। তবে, সেই সব বিমানে যাত্রী যায়নি। তারা খালিই গিয়েছে।
চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে দেশের ভিতরে এবং আন্তর্জাতিক রুটে যাতে নিয়মিত বিমান চলাচল শুরু করা যায় তার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা তৈরি করে রাখা হয়েছে বলেও এ দিন অধিকর্তা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট করে সোমবার থেকে কারা কতগুলো উড়ান চালাবে তা আমাদের এখনও জানায়নি। ওরাও যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। দেখে নিতে চাইছে কত যাত্রী এখন পাওয়া যাবে।’’ ইন্ডিগো এ দিন জানিয়েছে, তারা সোমবার দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদ থেকে চেন্নাই-এ একটি করে উড়ান চালাবে।
মনে করা হচ্ছে, গত তিন-চার দিনে বহু যাত্রীই কোনও না কোনও ভাবে বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদ পৌঁছে সেখান থেকে নিজেদের গন্তব্যে উড়ে গিয়েছেন। চেন্নাইয়ের এখন যা অবস্থা, সোমবার থেকে পুরো মাত্রায় উড়ান শুরু করে দিলেও পর্যাপ্ত যাত্রী নাও পেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিমানসংস্থাগুলি। দীপকবাবু এ দিন জানান, চেন্নাই বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে ৭২ কিলোমিটার দূরের বায়ুসেনার ঘাঁটি রাজালি থেকে যাত্রীদের নিয়ে যাতায়াত করছিল বিমানসংস্থাগুলি। রবিবার পর্যন্ত রাজালি যাত্রী বিমানের জন্য খোলা থাকবে। সোমবার থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।