হেরে চিন্তায় কোচ আলেয়ান্দ্র। ছবি: ফাইল চিত্র
ইস্টবেঙ্গল- ০ জর্জ টেলিগ্রাফ- ১ (জাস্টিস)
কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচেই হার শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গলের। মোহনবাগানের মতো কলকাতা লিগে হেরে শুরু করল আরেক বড় দল ইস্টবেঙ্গলও। এর আগে কলকাতা লিগে দুই ম্যাচে জিতে ছন্দে ছিল জর্জ টেলিগ্রাফ। আজ তারা হারিয়ে দিল লাল-হলুদ বাহিনীকে। দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময় গোল করে জর্জকে জেতান জাস্টিস মর্গান। এই ম্যাচ জিতে জর্জ টেলিগ্রাফ এই মুহূর্তে উঠে এল কলকাতা লিগের এক নম্বরে। জর্জ কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য অভিজ্ঞ মানুষ। তিনি জানতেন কলকাতা লিগে পার্থক্য তৈরি করেন বিদেশিরাই। আর এদিক থেকে এগিয়ে ছিল তাঁর দল।
আইনি জটিলতায় তিন বিদেশি হেইমে স্যান্টোস কোলাদো, কাশিম আইদারা এবং বোরখা গোমেসকে বাদ দিয়েই দল নামাতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। বৃহস্পতিবার সই করা মার্তি ক্রেসপেই শুধু নামলেন বিদ্যাসাগর সিংহদের সঙ্গে। মার্তি গত সোমবার ডুরান্ডের দ্বিতীয় ম্যাচে সুবিধা করতে পারেননি। এ দিনও তিনি ছাপ ফেলতে ব্যর্থ।
বিদ্যাসাগরের শট ৬৫ মিনিটে আটকে দেন জর্জ গোলরক্ষক লাল্টু। সারা ম্যাচে গোল লক্ষ্য করে বহু শট নিলেও আসল কাজ করতে ব্যর্থ বিদ্যাসাগররা। গোলের সামনে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রাক্তন মোহনবাগান ডিফেন্ডার ইচে। জর্জের দুই বিদেশি স্ট্রাইকার সানডে এবং জাস্টিসও সুযোগ তৈরি করেছেন প্রচুর। কিন্তু রক্ষিত ডাগারকে মাত্র একবারই পরাস্ত করতে পারেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: বাগানে কাঁটা হয়ে ফিরলেন ক্রোমা
দ্বিতীয়ার্ধে পাঁচ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। যা কাল হয়ে দাঁড়ায় ঘরের মাঠে খেলতে নামা ইস্টবেঙ্গলের কাছেই। তথাকথিত ছোট দল জর্জ ততক্ষণে নিজেদের অর্ধে নামিয়ে এনেছে এগারো জনকেই। ঝাঁকে ঝাঁকে আক্রমণ আসতে থাকে লাল-হলুদের। এরই মাঝে সুযোগ চলে আসে প্রতি আক্রমণের। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি মর্গান। আক্রমণে উঠে যাওয়া ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স তখনও নামতে পারেনি। গোল করতে ভুল করেননি জর্জের স্ট্রাইকার।
আরও পড়ুন: এক বিদেশিতেই নামবে ইস্টবেঙ্গল
ইস্টবেঙ্গলের সামনে কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠে জর্জ টেলিগ্রাফ। লিগের প্রথম দু’টি ম্যাচই জিতেছিল জর্জ। দলের বেশিরভাগ ফুটবলারই পুরনো। কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য পাঁচ বছর রয়েছেন জর্জের সঙ্গে। কয়েক দিন আগে বাংলা সন্তোষ ট্রফির কোচ করেছে তাঁকে। রঞ্জন নিজে এক বছর ইস্টবেঙ্গলেও খেলেছেন। আগেই বলেছিলেন যে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলবেন। ম্যাচে দেখাও গেল সেটাই। যদিও শেষের দিকে নিজেদের গোলের সামনে পায়ের জঙ্গল তৈরি করে ইস্টবেঙ্গলের কাজ আরও কঠিন করে দিয়েছিলেন বুদ্ধিমান কোচ রঞ্জন। শেষ হাসি হাসলেন তিনিই।