প্রতীকী ছবি।
হঠাৎই করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় বৃদ্ধি ঘটতে শুরু করেছে অ্যাডিলেডে। যেখানে ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলবে ডিসেম্বরে। রবিবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল চার। সোমবার তা বেড়ে হয়েছে ১৭। তাই তড়িঘড়ি নিভৃতবাস পর্বে পাঠানো হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক টিম পেন-সহ কয়েক জন ক্রিকেটারকে। এঁরা প্রত্যেকেই অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া প্রতিযোগিতা শেফিল্ড শিল্ডে খেলতে সম্প্রতি অ্যাডিলেডে গিয়েছিলেন।
যদিও করোনার প্রকোপে টেস্ট সিরিজ পিছনোর কোনও সম্ভাবনার কথা জানায়নি অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড। ১৭ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত টেস্ট সিরিজ। তবে প্রথম টেস্টই যে-হেতু অ্যাডিলেডে দিনরাতের ম্যাচ, কিছুটা হলেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অ্যাডিলেডে কোভিড পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে নর্দার্ন টেরিটরি, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ও তাসমানিয়া। অ্যাডিলেড থেকে আসা প্রত্যেককে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক নিভৃতবাসের নিয়ম জারি করা হয় সোমবার দুপুর থেকে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে কি টেস্ট সিরিজ পিছনোর সম্ভাবনা রয়েছে? ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এক কর্তা অস্ট্রেলিয়ার এ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘আমরা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি। এর চেয়ে বেশি আমার আর কিছু বলার নেই।’’ অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে, ক্রিকেট বোর্ডের বিভিন্ন কর্তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করার পরে তাঁরা বলেছেন, ‘‘এখনই টেস্ট সিরিজ পিছনোর কোনও কারণ দেখছি না।’’
বর্তমানে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচ খেলার জন্য সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন পেন, ম্যাথু ওয়েডরা। তাঁদের এই ম্যাচ আর খেলা হচ্ছে না। তাসমানিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। আপাতত প্রত্যেকে নিভৃতবাসে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।” অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্টে পঞ্চাশ শতাংশ দর্শকাসন ভর্তি করার কথা ভেবেছিলেন কর্তারা। সেই পরিকল্পনা ধাক্কা খেতে পারে। ভারতীয় ক্রিকেট দল এখন রয়েছে সিডনিতে। সেখানে নিভৃতবাস চললেও অনুশীলন করতে পারছেন তাঁরা।