আর বাধা রইল না দীপাদের সামনে।—ফাইল চিত্র।
কোচ নির্বাচন নিয়ে সাই এবং সর্বভারতীয় জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশন কর্তাদের টানাপোড়েনে দোহায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়শশিপে যেতেই পারেনি ভারতীয় দল। নিজেদের মনের মতো কোচ না পেয়ে বিদ্রোহী হয়ে শিবির ছেড়েছিলেন জিমন্যাস্টরা। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়েছিল।
এ বার আর সেটা হল না। কয়েক দিন আগে দীপা কর্মকারদের নিয়ে দিল্লিতে বিশেষ শিবির করার পর চার সদস্যের ভারতীয় দলকে জার্মানিতে আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দীপারা মঙ্গলবার জার্মানির কোটবাসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গিয়েছেন। যেখানে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে প্রতিযোগিতা। সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দীপারা সেখানে জাতীয় পতাকা নিয়ে ভারতীয় দলের প্রতিনিধি হিসেবেই নামতে পারবেন। সরকারের বক্তব্য, জিমন্যাস্টদের সামনে ২০২০ সালের টোকিয়ো অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জনই লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে জার্মানির প্রতিযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই দীপাদের আটকানো হচ্ছে না।
জার্মানিতে বিশ্বকাপ আর্টিস্টিক জিমন্যাসটিক্স চলবে চার দিন ধরে। মোট আটটি ইভেন্ট হবে। জিমন্যাস্টরা তিনটি সেরা স্কোরের ভিত্তিতে যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ পেতে পারেন। বিশ্বকাপে চার জনের ভারতীয় দল অংশ নেবে। দীপা ছাড়াও দলে আছেন বি অরুণা রেড্ডি, আশিস কুমার ও রাকেশ পাত্র।
রিয়ো অলিম্পিক্সে চতুর্থ স্থানাধিকারী দীপাই বিশ্বকাপে ভারতের প্রধান ভরসা। অস্ত্রোপচারের পরে চোট সারিয়ে উঠে এ’বছরের জুলাই মাসে তিনি তুরস্কের মার্সিনে আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্সের ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জ কাপে সোনা জিতেছিলেন। যদিও জাকার্তা এশিয়ান গেমসে তিনি ব্যর্থ হন। হাঁটুতে নতুন করে সমস্যা তৈরি হওয়ায় তিনি প্রত্যাশিত সাফল্য পাননি। রওনা হওয়ার আগে ফোনে দীপা বলে দিলেন, ‘‘আমি পুরোপুরি সুস্থ। এখন কোনও সমস্যা নেই। টোকিয়ো অলিম্পিক্সের প্রস্তুতি হিসাবে নিচ্ছি এই প্রতিযোগিতাকে। সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’’ অরুণা এ বার একটি বিশ্বকাপের আসরে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। দীপার পাশাপাশি তাঁর দিকেও নজর থাকবে সবার।
পুরুষদের মধ্যে সামান্য হলেও আশা রয়েছে আশিসকে ঘিরে। প্রসঙ্গত তিনি ২০১০ সালে চিনের এশিয়ান গেমসে ফ্লোর এক্সারসাইজে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। ওই একই বছর তিনি কমনওয়েলথ গেমসে ফ্লোর ও ভল্টে যথাক্রমে ব্রোঞ্জ এবং রুপো জেতেন। আর রাকেশ এ’বছর বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় ভাল ফল করেছেন। ফেব্রুয়ারি মাসে মেলবোর্ন বিশ্বকাপে তিনি অল্পের জন্য চতুর্থ হন। সংগঠকদের আশা, জার্মানিতেও তিনি বড় কোনও অঘটন ঘটাতে পারেন।