কার্লোস আলকারাজ। ছবি: রয়টার্স।
কার্লোস আলকারাজ যে ফরাসি ওপেনের সেমিফাইনালে উঠবেন তা আশা করেছিলেন ফিলিপে শাতিয়েঁর কোর্টের দর্শকেরা। কিন্তু তিনি যে এ ভাবে জিতবেন তা হয়তো কেউ আশা করেননি। কোয়ার্টার ফাইনালে পুরুষদের পঞ্চম বাছাই গ্রিসের স্টেফানোস চিচিপাসকে দাঁড়াতেই দিলেন না আলকারাজ। স্টেট সেটে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিলেন পুরুষদের শীর্ষ বাছাই টেনিস তারকা। খেলার ফল তাঁর পক্ষে ৬-২, ৬-১, ৭-৬ (৭-৫)।
খেলার শুরু থেকেই দাপট ছিল আলকারাজের। লাল সুরকির কোর্টে কী ভাবে টেনিস খেলতে হয় তা আরও এক বার সবাইকে দেখালেন স্পেনের তারকা। সত্যিই রাফায়েল নাদালের ছেড়ে যাওয়া সিংহাসনের যোগ্য উত্তরাধিকারী হয়ে উঠেছেন তিনি। কোর্ট জুড়ে চিচিপাসকে দৌড় করলেন আলকারাজ। দেখে মনে হচ্ছিল, পঞ্চম বাছাই নয়, অবাছাই কোনও খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে খেলেছেন আলকারাজ। প্রথম সেটে ৬-২ জিতে যান তিনি।
দ্বিতীয় সেটে আরও দাপট দেখালেন আলকারাজ। বেস লাইন ও নেট লাইন থেকে তাঁর একের পর এক ড্রপ শট চিচিপাসকে খেলা থেকে আরও দূরে নিয়ে গেল। স্পেনের খেলোয়াড়ের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন তিনি। মাঝেমধ্যে আলকারাজের কিছু শট দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাচ্ছিলেন চিচিপাস। যেন এক শিল্পীর সামনে দাঁড়িয়ে তিনি। দ্বিতীয় সেট ৬-১ জেতেন আলকারাজ।
প্রতিটি বিভাগে চিচিপাসকে টেক্কা দিয়েছেন আলকারাজ। সার্ভিস, উইনার, ব্রেকপয়েন্ট সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে তিনি। আর সময়ে সময়ে নিজের সেরা অস্ত্র ড্রপ শট বার করে পয়েন্ট তুলে নিলেন আলকারাজ। তৃতীয় সেটে একটু লড়াই করেছিলেন চিচিপাস। খেলা টাইব্রেকারে গড়ায়। কিন্তু সেখানেও কেল্লাফতে আলকারাজের। শেষ পর্যন্ত হেরেই কোর্ট ছাড়তে হয় চিচিপাসকে।
সেমিফাইনালে আলকারাজের সামনে নোভাক জোকোভিচ। ফরাসি ওপেনের ফাইনালের আগে সেই ম্যাচই কার্যত ফাইনাল। জোকোভিচ ও আলকারাজের মধ্যে যিনি জিতবেন তিনিই ফরাসি ওপেন জেতার সব থেকে বড় দাবিদার। জোকোভিচও কোয়ার্টার ফাইনালে দাপট দেখিয়ে জিতেছেন। কিন্তু শেষ চারে আলকারাজের বিরুদ্ধে লড়াইটা মোটেই সহজ হবে না ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিকের।