কার্লোস আলকারাজ়। —ফাইল চিত্র।
শুরুটা করেছিলেন দানিল মেদভেদেভ। শেষটা করলেন কার্লোস আলকারাজ়। ২ ঘণ্টা ৫৫ মিনিটের লড়াইয়ে পঞ্চম বাছাই রুশ তারকাকে ৬-৭ (১-৭), ৬-৩, ৬-৪, ৬-৪ ব্যবধানে হারিয়ে উইম্বলডনের ফাইনালে চলে গেলেন তৃতীয় বাছাই স্পেনীয়। বিশ্বের দুই প্রাক্তন এক নম্বরের লড়াই যতটা হাড্ডাহাড্ডি হওয়ার প্রত্যাশা ছিল, ততটা হল না আলকারাজ়ের দাপুটে টেনিসের সুবাদে।
শুরুতেই আলকারাজ়ের সার্ভিস ভেঙে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিলেন মেদভেদেভ। পিছিয়ে পড়ার পর ধীরে ধীরে খেলার নিয়ন্ত্রণ নেন আলকারাজ়। তাতেই শেষ হয়ে গেল মেদভেদেভের উইম্বলডন ফাইনালে ওঠার আশা। সমতা ফিরিয়েও প্রথম সেট জিততে পারেননি আলকারাজ়। টাইব্রেকারে দাঁড়াতেই পারলেন না রুশ প্রতিপক্ষের সামনে। তার পর অবশ্য আর দাঁড়াতে দিলেন না তিনিই। টানা টানা তিন সেট জিতে ম্যাচ ছিনিয়ে নিলেন গত বারের চ্যাম্পিয়ন। আলকারাজ়ের টপ স্পিন সামলাতে সমস্যায় পড়লেন মেদভেদেভ।
ঘাসের কোর্টে কখনই তেমন সুবিধা করতে পারেননি রাফায়েল নাদাল। তাঁর শিষ্য কিন্তু প্রমাণ করে দিচ্ছেন, তিনি যথেষ্ট স্বচ্ছন্দ। সেটাই সেমিফাইনালে কেড়ে নিল মেদভেদেভের ছন্দ। রুশ খেলোয়াড় শুরুটা ভালই করেছিলেন। তুলনায় তাঁকে বেশি আত্মবিশ্বাসীও দেখাচ্ছিল। তাঁর পাওয়ার টেনিসের সামনে কিছুটা রক্ষণাত্মক দেখাচ্ছিল আলকারাজ়কে। বেসলাইন থেকে খেলার চেষ্টা করছিলেন। তাতে সুবিধা না হওয়ায় ম্যাচের পঞ্চম গেম থেকে খেলার ধরন বদলে ফেলেন। নেটে কাছে এগিয়ে খেলতে শুরু করেন আলকারাজ়। তাঁর এই কৌশলের সামনে খেই হারিয়ে ফেললেন মেদভেদেভ।
প্রথম সেটে সমতা ফিরিয়েও টাইব্রেকারে দাঁড়াতে পারেননি আলকারাজ়। তাঁকে কিছুটা হতাশই দেখাচ্ছিল। পাওয়ার টেনিসের সঙ্গে ভলি, ড্রপ শট মেশাতে শুরু করেন দ্বিতীয় সেট থেকে। তাতে ফলও পেলেন হাতেনাতে। দ্বিতীয় সেটের শুরুতেই মেদভেদেভের সার্ভিস ভেঙে এগিয়ে যান আলকারাজ়। আর সমতা ফেরাতে পারেননি রুশ খেলোয়াড়। তৃতীয় এবং চতুর্থ সেটেও গুরুত্বপূর্ণ সময় নিজের সার্ভিস ধরে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি। চতুর্থ সেটে ৫-৪ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার সময় সার্ভিস পান আলকারাজ়। নিজের সার্ভিস ধরে রেখে গেম, সেট এবং ম্যাচ জিতে নেন।