আরও চার-পাঁচ বছর খেলে দিতে পারি

দু’বছর দু’মাস পনেরো দিনের ‘বনবাস’ যত কঠিনই থেকে থাকুক, এক মুহূর্তের জন্যেও নাকি আত্মবিশ্বাস ছেড়ে যায়নি তাঁকে। কারণ হরভজন সিংহ নাকি জানতেন, কোনও না কোনও দিন দেশের জার্সি ঠিক ফিরে পাবেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৫ ০৪:২২
Share:

দু’বছর দু’মাস পনেরো দিনের ‘বনবাস’ যত কঠিনই থেকে থাকুক, এক মুহূর্তের জন্যেও নাকি আত্মবিশ্বাস ছেড়ে যায়নি তাঁকে। কারণ হরভজন সিংহ নাকি জানতেন, কোনও না কোনও দিন দেশের জার্সি ঠিক ফিরে পাবেন।

Advertisement

‘‘মনে হচ্ছে নতুন ভাবে সব শুরু করছি। নতুন ইনিংসটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শুরু করতে চাই, যাতে সুযোগটা কাজে লাগানো যায়,’’ ষোলো বছরের কেরিয়ারের নবতম প্রত্যাবর্তন নিয়ে বলছেন ৩৪ বছরের অফস্পিনার।

১০১ টেস্টে ৪১৩ উইকেটের মালিক আরও বলেছেন, ‘‘বোলিং নিয়ে প্রচুর খেটেছি। বিশেষ করে যে জায়গাগুলোয় উন্নতি করার দরকার ছিল বলে আমার নিজের মনে হচ্ছিল। যাঁরা আমাকে ভালবাসেন, যাঁরা সব সময় আমার পাশে ছিলেন, তাঁদের শুভেচ্ছা আর আশীর্বাদ সঙ্গে ছিল।’’

Advertisement

হরভজন শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেন ২০১৩-র মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, হায়দরাবাদে। পরের দুটো বছর কী ভাবে কেটেছে তাঁর? ‘‘আমার কাছে ইন্ডিয়া জার্সিই সবচেয়ে মূল্যবান। এই দিনটার জন্যই গত দু’বছর প্রচুর পরিশ্রম করেছি। এক দিনের জন্য, এক মুহূর্তের জন্যও কখনও ভাবিনি যে, আর কোনও দিন দেশের হয়ে খেলব না,’’ বলে অভিভূত হরভজন আরও যোগ করেছেন, ‘‘হ্যাঁ, এই দু’বছরে অনেক টিম সিলেকশন মিটিং হয়েছে। আমি যেগুলোর জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করেছি। দিনের শেষে সবটাই কঠোর পরিশ্রমের ফল। এই জায়গায় কোনও শর্টকাট চলে না।’’

এই দু’বছরে অবসরের ভাবনা মাথায় আসেনি? হরভজনের উত্তর, ‘‘এখন আমি যে অবস্থায় আছি, তাতে আরও চার-পাঁচ বছর খেলে দিতে পারব। সব ফর্ম্যাটে দেশের হয়ে খেললেও যে নিজের সেরাটা দিতে পারব, সেই বিশ্বাস আমার আছে।’’

চলতি আইপিএলে তাঁর বোলিং বেশ প্রশংসিত হয়েছে। অনেকে তো এটাও বলছেন যে, আইপিএলের আট সংস্করণে এটাই হরভজনের সেরা পারফরম্যান্স। যা একেবারেই মানতে চান না হরভজন। বরং তিনি বলছেন, ‘‘২০১৩ আইপিএলে আমি চব্বিশটা উইকেট পেয়েছিলাম। যে বার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স চ্যাম্পিয়ন হল। গত বছরও চোদ্দোটা উইকেট পেয়েছি। আর এ বার আপাতত ষোলোটা। তা হলে কি বলবেন ২০১৩-এ আমি খারাপ বল করছিলাম? আসল জিনিস, বোলিং নিয়ে আমি সব সময় খেটে যাচ্ছি।’’

কী রকম? হরভজনের ব্যাখ্যা, ‘‘স্বেচ্ছায় কয়েকটা বদল করেছি। হাত থেকে বলটা বেশ ভাল বেরোচ্ছে। হাওয়ায় কম গতিতে যাচ্ছে বলে বেশি ঘুরছেও। ফ্লাইটে ব্যাটসম্যানদের বোকা বানাতে যেটা আমাকে সাহায্য করছে।’’ প্রত্যাবর্তনের যুদ্ধে অনিল কুম্বলে আর সচিন তেন্ডুলকর ছিলেন তাঁর দুই অনুপ্রেরণা। যাঁদের ভূমিকা নিয়ে বলতে গিয়ে হরভজনের মন্তব্য, ‘‘সব সময়ই ওরা দু’জন আমাকে তাতিয়ে গিয়েছে। এই কিংবদন্তিদের সঙ্গে যে কোনও সময় নিজের ক্রিকেট নিয়ে কথা বলা যায়। সচিন সব সময় বলে যেত, আবার দেশের হয়ে খেলার ক্ষমতা আমার আছে। আমি যেন সেই বিশ্বাসটা না হারাই।’’

ভাজ্জি ফেরায় খুশি সৌরভ

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

এর আগে তিনি বহুবার যাঁর দলে ফেরার পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন, সেই হরভজন সিংহের দু’বছর পর ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনে খুশি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এক সময় তাঁরই নেতৃত্বে খেলা তারকা অফস্পিনারের ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় সৌরভ বলেন, ‘‘হরভজন সুযোগটা পেয়েছে পারফরম্যান্সের জোরেই। খুব ভাল বোলার। আমি খুশি। আশা করছি সুযোগের সদ্ব্যবহার করবে ও।’’ এ দিন ইডেনের ক্লাব হাউসে সৌরভ বলেন, ‘‘হরভজনের মতো দলে ফিরতে পারে যুবি, বীরুরাও। ওরা ভাজ্জির এই প্রত্যাবর্তন থেকে অবশ্যই প্রেরণা পেতে পারে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement