শুক্রবার বৈঠকের আগে সৌরভ। —নিজস্ব চিত্র
সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত লোঢা কমিশনের দশটি সুপারিশে সায় নেই সিএবির। শুক্রবার লোঢা কমিশনের বিভিন্ন সুপারিশের মধ্যে বোর্ডের অনুমোদিত সংস্থা সংক্রান্ত ২১ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিশেষ সাধারণ বৈঠক বসেছিল সিএবি-র।
সভায় উপস্থিত সূত্রের খবর অনুযায়ী, সত্তরোর্ধ্ব ব্যক্তি ও মন্ত্রীদের ক্রিকেট প্রশাসনে আসতে না দেওয়ার সুপারিশে সায় নেই সিএবি-র। এক ব্যক্তির ক্রিকেট প্রশাসনের একাধিক পদে না থাকা এবং কোনও পদে ন’বছরের বেশি না থাকার সুপারিশেও আপত্তি জানিয়েছেন সিএবি-র বেশিরভাগ অনুমোদিত সংস্থার প্রতিনিধিরা।
প্রশাসনে মহিলা ও খেলোয়াড়দের থাকা নিয়ে সিএবি-র আপত্তি নেই। কিন্তু প্রাক্তন ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া নির্বাচন কমিটি রাজ্য সংস্থার কাছে জবাবদিহি করার ব্যাপারে দায়বদ্ধ থাকবে না— এই সুপারিশ মেনে নিতে রাজি নয় তারা।
তবে প্রাক্তন নির্বাচন কমিশন আধিকারিকের তত্ত্বাবধানে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার নির্বাচন হওয়া নিয়ে আপত্তি ওঠেনি এ দিনের সভায়। সংস্থায় পেশাদার ম্যানেজার, এথিকস অফিসার নিয়োগ এবং সচ্ছ্বতা রক্ষার প্রশ্নেও রাজি তারা। বৈঠক শেষে সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলে যান, ‘‘সিএবি-র মতামত দ্রুত বোর্ডকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’’ মতামত জানানোর জন্য অবশ্য এখনও তিন সপ্তাহ সময় রয়েছে তাঁদের হাতে।
সিএবি-র একাংশ থেকে অভিযোগ ওঠে এক রাজ্য এক ভোট এবং সরকারি সংস্থার (যেমন রেলওয়েজ, সার্ভিসেস, বিশ্ববিদ্যালয়) ভোটাধিকার না থাকার সুপারিশ নিয়ে কেন এই বৈঠকে আলোচনা হয়নি। এই ব্যাপারে সভায় উপস্থিত থাকা সিএবি-র আইনি উপদেষ্টা ঊষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই দুটো বিষয়ের কোনওটাই রাজ্য সংস্থার সঙ্গে জড়িত নয়। তাই আলোচনা হয়নি।’’
সিএবি সূত্রে খবর, এ দিন বৈঠকে সিএবি-র ১২১ অনুমোদিত সংস্থার মধ্যে প্রায় ৯০টি-র প্রতিনিধি হাজির ছিলেন। তবে ছিলেন না কোনও রাজনৈতিক নেতা। গত ২০ জানুয়ারি লোঢা কমিশনের সুপারিশগুলি নিয়ে সিএবি প্রেসিডেন্ট যে শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনায় বসেছিলেন, সেখানে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এ দিন অবশ্য তাঁকে দেখা যায়নি। রাতে সুব্রতবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘দলের মিটিং ছিল। তাই আজ যেতে পারিনি। তবে আমার বক্তব্য আগের সভাতেই জানিয়ে এসেছি। যদি আমার বক্তব্যের সঙ্গে তা মিলে যায়, তা হলে আমার অসুবিধা নেই।’’