বিড়ম্বনা বটে!
একটা মেলা। সে উপলক্ষে কাতারে-কাতারে লোক। তাদের শোয়া-বসা-প্রাকৃতিক ডাক মেটানোর ঠিকানা ময়দান। আর তাকে ঘিরে অদ্ভুত বিড়ম্বনার মুখে রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থা। এতটাই যে, গাঁটের কড়ি খরচ করে পাহারা বসাতে হচ্ছে! দেখতে হচ্ছে, যাতে রাতে মাঠে লোকজন নির্বিবাদে মলত্যাগ করে না চলে যায়! উপায় কী? নইলে তো সিএবি লিগ ক’টা দিন বন্ধ রাখতে হবে!
মেলার নাম গঙ্গাসাগর। যে মেলা উপলক্ষ্যে পুণ্যার্থীদের ‘দাপট’ সামলাতে ভাল বিপাকে সিএবি। শোনা গেল, প্রথমে পুণ্যার্থীদের ডেরা ছিল বাবুঘাট চত্বরে। কিন্তু সেখানে স্থান সঙ্কুলান, অতএব চলো ময়দান। বলা হচ্ছে, গত দু’তিন দিন ধরে কয়েকটা মাঠে নির্বিচারে মেটানো চলছে প্রকৃতির ডাক। মেটাচ্ছে নাকি শ’য়ে-শ’য়ে লোক। তালতলা, কাস্টমস, পুলিশ এবং কিছুটা গ্রিয়ার মাঠে। এবং মল-আবর্জনার স্তুপ সরাতে রাতারাতি জনা পঁচিশ-তিরিশ কর্মী তো বটেই, পাহারাও বসাতে হচ্ছে সিএবিকে। কারণ, আজ মঙ্গলবার থেকে তিনটে মাঠেই লিগের ম্যাচ। আবর্জনা না সরালে যা নাকি হওয়া সম্ভব নয়।
‘‘কী করব? ম্যাচগুলো করতে হবে তো! কী দুরাবস্থা হয়ে রয়েছে, বলার নয়,’’ রীতিমতো আতঙ্কিত দেখাচ্ছিল সিএবি-র গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান দেবব্রত দাসকে। শোনা গেল, সোমবার রাত থেকেই তিনটে মাঠে চার-পাঁচ জন করে পাহারাদার পাঠানো হচ্ছে। যারা নাকি টর্চ জ্বালিয়ে দেখবে, রাতের অন্ধকারে কেউ ‘দুষ্কর্ম’ করে চলে যাচ্ছে কি না! ধরা পড়লে কপালে দুঃখ আছে। এখানেই শেষ নয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে নাকি নামিয়ে দেওয়া হবে লোক। যাদের কাজ লিগ শুরুর আগে আবর্জনা পরিষ্কার করে ফেলা! লরিও ডাকা হচ্ছে। এবং এক-আধ দিন নয়, এ সব চলবে আগামী ১৬ জানুয়ারি অবধি। গঙ্গাসাগর মেলার ব্যাপার মিটতে মিটতে ততদিনই হবে বলে মনে করছে সিএবি। আর খরচও তাদের। গ্রাউন্ডস কমিটি চেয়ারম্যান হিসেব-টিসেব করে যা বললেন, মোটামুটি ষাট-সত্তর হাজার টাকার ধাক্কা। যা মেটাতে হবে সিএবিকেই।
সত্যি, বিড়ম্বনা বটে!