আর্জি: সুইং করানোর জন্য থুতুর বিকল্প চান বুমরা। ফাইল চিত্র
করোনা সংক্রমণ পরবর্তী ক্রিকেট বিশ্বে ফের খেলা চালু হলে, থুতু দিয়ে বল পালিশ করার বিকল্প চাইলেন ভারতীয় পেসার যশপ্রীত বুমরা। তাঁর মতে, ফের ক্রিকেট শুরু হলে বোলারদের কথা ভেবেই বিকল্প চালু করা হতে পারে।
সম্প্রতি অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন আইসিসি-র ক্রিকেট কমিটি করোনা সংক্রমণ এড়াতে থুতু দিয়ে বল পালিশের পদ্ধতি বাতিল করার প্রস্তাব দিয়েছিল। যা মেনেছে আইসিসি। কিন্তু বুমরার মতে, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে খেলাটা ব্যাটসম্যানের অনুকূলে থাকে। তাই ব্যাট ও বলের দ্বৈরথে ভারসাম্য রাখতে এই পদ্ধতির বিকল্প জারি রাখা জরুরি।
আইসিসি-র ভিডিয়ো সিরিজ ‘ইনসাইড আউট’ অনুষ্ঠানে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন পেসার শন পোলক ও প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান পেসার ইয়ান বিশপের সঙ্গে আলোচনায় এই সবই বলেন বুমরা। এ ছাড়াও ছোট রান-আপ, পছন্দের ডিউক বল ও লকডাউনের জীবন নিয়েও বলেন তিনি। উইকেট পেলে সতীর্থদের সঙ্গে হাতমেলানো বা জড়িয়ে ধরে উৎসব করার পদ্ধতি বন্ধের যে প্রস্তাব রয়েছে তা মানছেন বুমরা। কিন্তু থুতু দিয়ে বল পালিশ করার পদ্ধতির বিকল্প চান তিনি। বুমরার কথায়, ‘‘আমি উইকেট পেলে খুব বেশি হাত মিলিয়ে উৎসব করি না। তাই এই পদ্ধতি বন্ধ করা নিয়ে আমার কোনও বিরুদ্ধ মত নেই। কিন্তু থুতু দিয়ে বল পালিশের বিকল্প রাখা উচিত। জানি না, ফের খেলা শুরু হলে কী ধরনের নিয়ম মানতে হবে! কারণ বল ঠিক মতো বানানো না গেলে বোলারদের সমস্যা হবেই। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বর্তমানে মাঠ ছোট থাকে। উইকেটও পাটা। তাই বোলারদের জন্যও কিছু থাকা দরকার। কারণ বল তৈরি করা না গেলে ঠিক মতো সুইং বা রিভার্স সুইং কোনওটাই পাওয়া যাবে না।’’
এই প্রসঙ্গে বুমরাকে বিশপ মনে করিয়ে দেন গত, কয়েক বছরে টেস্ট ম্যাচে গতি সম্পন্ন উইকেট দেওয়া হচ্ছে। যা মেনে নিয়েছেন বুমরাও। তার কথায়, ‘‘টেস্টে অবশ্যই পেসারদের সহায়ক উইকেট হচ্ছে। সে কারণেই তিন ধরনের ক্রিকেটের মধ্যে আমি টেস্ট খেলতে বেশি ভালবাসি। ওয়ান ডে ক্রিকেটে দু’টি নতুন বল থাকে। তাই শেষের দিকে রিভার্স সুইং কখনও কখনও মেলে। আমার নিউজ়িল্যান্ডে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেখানে উইকেট থেকে প্রান্তসীমার দূরত্ব ৫০ মিটার। ফলে কখনও কখনও ছয় মারতে না চাইলেও ব্যাটসম্যানের ছক্কা হয়ে যায় সেখানে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি অনেক ব্যাটসম্যানকেই বলতে শুনেছি, বল সুইং করছে। আরে বল তো সুইং করবেই, বোলারেরা তো বল ছুড়ে অনুশীলন করাতে আসেনি।’’