প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়া স্পিনার ব্র্যাড হগ। ছবি: সংগৃহিত।
সময়টা তখন খুব খারাপই যাচ্ছিল। ব্যাক্তিগত সম্পর্কই হোক বা ক্রিকেট জীবন। একটা একটা করে ছিটকে যাচ্ছিল সব। আর ঠিক তখনই মনে হয়েছিল, এই জীবন রেখে আর কী হবে? আত্মহত্যার কথাও ভেবে ফেলেছিলেন। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়া স্পিনার ব্র্যাড হগের আত্মজীবনীতে এমনই সব বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে।
সাফল্যের সঙ্গে সাতটি টেস্ট খেলার পর বাধ্য হয়ে অবসর নিয়ে নিতে হয়েছিল। ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপ জয়ের মূল কারিগর ছিলেন তিনিই। কিন্তু এর পরও কোনও উপায় ছিল না। বাধ্য হয়েই অবসরের পথ বেছে নিতে হয়েছিল। বলেন, “অবসর নেওয়া ছাড়া আমার কাছে কোনও বিকল্প ছিল না। প্রাক্তন স্ত্রী আন্দ্রের সঙ্গে বিয়ে বাঁচাতে ২০০৭-০৮এ সব রকম ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল।”
হগের অটোবায়োগ্রাফি, 'দ্য রং উন' সোমবারই প্রকাশিত হল। যদিও বিয়ে বাঁচাতে ক্রিকেট ছাড়তে হয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সম্পর্কও বাঁচেনি। তার পরই ডুবে গিয়েছিলেন নেশার জগতে। ক্রিকেট ছেড়ে কোনও কাজে তৃপ্তি পেতেন না। তখন মনে হত আত্মহত্যার কথা। বলেন, “সমুদ্রের পাড়ে গাড়ি থেকে নেমে একা একাই হাঁটতাম। সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। মনে হতো আমি কি এখান সাঁতার কেটে ফিরে আসতে পারব? যদি পারি তা হলে ভাল না হলে আমার দুর্ভাগ্য। অন্ধকারে ছিলাম। চারবার ঝাপ দিয়েছিলাম। আর সব বারই ভেবেছি কিছু একটা ভয়ঙ্কর হোক। কিন্তু দেখলাম ভাবা আর সেটা করার মধ্যে অনেক পার্থক্য।”
সব হতাশা কাটিয়ে তিনি আবার ক্রিকেটে ফিরেছেন। গত মরসুমে আইপিএল-এর সব থেকে বয়স্ক ক্রিকেটার ছিলেন তিনিই। বয়স এখন ৪৫। খেলেছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। বিগ ব্যাশ লিগে এই মরসুমে খেলছেন বেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে।
আরও খবর
প্রত্যাবর্তনেই পরিষ্কার আমাদের চরিত্র