বক্সিং থেকে ক্রিকেট। পেপারে একটা বিজ্ঞাপনই বদলে দিল জীবনটা। এক বন্ধু ও ভাইকে সঙ্গে করে পৌঁছে গিয়েছিলেন মোহালিতে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবে ট্রায়াল দিতে। কোনও প্রথাগত ট্রেনিং কখনও নেননি। পাড়ার গলিতে যেভাবে টেনিস বলে সবাই ছুটির দিনে ক্রিকেটে মাতে স্রানও ক্রিকেটটাকে সেভাবেই দেখেছিলেন। কিন্তু সেই সময় তিনি নির্বাচিত হননি। ট্রায়াল দেওয়ার জন্য সঠিক বুট, জার্সি কিছুই ছিল না স্রানের। এর পর তিনি নিজেকে খুঁজে পেলেন পঞ্জাবের কিংস কাপে। তার পর থেকেই ক্রিকেট নিয়ে ভাবতে শুরু করেন তিনি। কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর।
অস্ট্রেলিয়া সফরে জাতীয় দলের ডাকটা যেন নতুন করে ভাবাতে শুরু করেছে স্রাণকে নিয়ে। চন্ডীগড়ের কেকে অ্যাকাডেমি থেকে গাটোরেড স্পিডস্টার প্রতিযোগিতা। তখনই তিনি নজরে পরে যান পঞ্জাব কর্তাদের। সুযোগ আসে মোহালি স্টেডিয়ামে অনুশীলনের। সেই শুরু। তখনই আইপিএল-এ বিভিন্ন খেলতে আসা দলের সঙ্গে নেটে বল করার সুযোগ পেয়ে যান স্রান। এর পর স্পিডস্টারের অনূর্ধ্ব-১৯ লিগ জিতে সুযোগ চলে আসে দুবাইয়ের আইসিসি অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার।
পঞ্জাবের দাবালি গ্রামের দুস্থ কৃষকের পরিবার থেকে বক্সার হওয়ার স্পপ্ন নিয়ে ভিবানীতে এসেছিলে বারিন্দর স্রান। কিন্তু হঠাৎই বদলে গেল সব। ক্রিকেট টেনে নিয়ে গেল অনেকটা উচ্চতায়। মোহালির হয়ে আন্তঃজেলা ক্রিকেট থেকে পঞ্জাব দল। ২০১১-১২ মরশুমে পঞ্জাবের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে ১৪ উইকেট নেওয়ার পরই কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলেন স্রান। চোটই তাঁকে ছিটকে দিয়েছিল। আবার ফিরলেন সেই ট্রায়ালেই। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও রাজস্থান রয়্যালসের ট্রায়ালে। রাহুল দ্রাবির স্রানকে দেখে চমকে গিয়েছিলেন, যখন শুনেছিলেন মাত্র এক মরশুমই পেশাদার ক্রিকেট খেলেছিলেন তিনি।
এর পর যখন দক্ষিণ আফ্রিকা মোহালিতে প্রথম টেস্ট খেলতে এল তখন স্রানের ডাক পরল নেটে। ঠিক যেন হরভজন সিংহর কাহিনীর পুনরাবৃত্তি। তিনমাসের মধ্যেই টেস্ট দলে ডাক এসেছিল। ঠিক একইভাবে বারিন্দর স্রানেরও একদিনের জাতীয় দলে ডাক এসে গেল। হয়তো অস্ট্রেলিয়া সফরে বল হাতে দেখা যাবে পঞ্জাবের এই বিস্ময় বালককে।