গত মরসুম থেকেই সুনীল নারিনকে দিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে ওপেনিং করিয়ে সাফল্য পেয়েছে নাইট রাইডার্স। এ বারেও সেই ফর্মুলা মেনে প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে উড়িয়ে দিয়েছে নাইটরা। নাইটদের পথে হেঁটে বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিরাও পিঞ্চ হিটার বোলারদের ওপেনিংয়ে ব্যবহার করতে পারে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন পিঞ্চ হিটার বোলারকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে পরীক্ষা করতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।
লিয়াম প্লাঙ্কেট (দিল্লি ডেয়ারডেভিলস): কাগিসো রাবাদার জায়গায় তাঁকে দলে নিয়েছে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। ওয়ান ডে তো বটেই, টেস্টেও হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে এই ইংরেজ ফাস্ট বোলারের। নাইটদের ক্যাপ্টেন থাকার সময় নারিনকে দিয়ে ওপেন করিয়েছিলেন গম্ভীর। এ বার দিল্লির অধিনায়ক গম্ভীর প্লাঙ্কেটকে দিয়ে ওপেন করিয়ে দেখতে পারেন।
হরভজন সিংহ (চেন্নাই সুপার কিঙ্গস): ২০১৫ আইপিএলে তাঁর ২৪ বলে ৬৪ রানের ইনিংস এখনও মনে রয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। টেস্টে দু’টি সেঞ্চুরি এবং ন’টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে ভাজ্জির। দল বদলে এ বারে চেন্নাইতে গিয়েছেন হরভজন। তাঁকে দিয়ে ওপেনিং করিয়ে দেখতে পারেন ধোনি।
ক্রিস জর্ডন (সানরাইজার্স হায়দরাবাদ): প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেঞ্চুরি রয়েছে ইংল্যান্ডের এই পেসারের। পিঞ্চ হিটার হিসাবে ব্যাটের হাতটা যথেষ্ট ভাল জর্ডনের। ধবনের সঙ্গে তাঁকে নামিয়ে পরীক্ষা করা যেতেই পারে।
বেন কাটিং (মুম্বই ইন্ডিয়ান্স): এই অজি ফাস্ট বোলার পিঞ্চ হিটিংয়ের জন্য প্রসিদ্ধ। ২০১৬ সালে তাঁর ব্যাট হাতে ১৫ বলে ৩৯ সানরাইজার্সকে ট্রফি জেতাতে সাহায্য করে। এ বারে মুম্বইয়ের হয়ে খেলা কাটিংকে দিয়ে ওপেন করিয়ে দেখতেই পারেন রোহিত শর্মা।
জোফ্রা আর্চার (রাজস্থান রয়্যালস): ডোয়েন ব্রাভো, কিয়েরন পোলার্ডদের উত্তরসূরি বলা হচ্ছে জোফ্রা আর্চারকে। ব্যাট ও বল হাতে বিগ ব্যাশে তাঁর অসাধারণ পারফরম্যান্সের সুবাদে নিলামে তাঁকে ৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে কেনে রাজস্থান। তাঁকে দিয়ে ওপেন করিয়ে দেখতেই পারেন রাহানেরা।