সারা দিনে পড়ল ১৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ফিরে গিয়েছেন ভারতের পাঁচ জনও। বিরাট কোহালিদের লিড এখন ৩৪৬ রানের। হাতে রয়েছে পাঁচ উইকেট। শনিবার অস্ট্রেলিয়ার সামনে চতুর্থ ইনিংসে জেতার জন্য কত রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেবে ভারত, তা নিয়ে চলছে জল্পনা।
৪৪৩ রানে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছিল ভারত। মেলবোর্নে শুক্রবার সকালে বিনা উইকেটে আট নিয়ে শুরু করেছিল হোমটিম। প্রথমে ফেরেন ডানহাতি ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ।
এর পরই শুরু বুমরার তাণ্ডব। তাঁর প্রথম শিকার ওপেনার মার্কাস হ্যারিস। হুক মারতে গিয়ে লং লেগে ইশান্তকে সহজ ক্যাচ দেন হ্যারিস। ৩৬ রানে পড়ে দুই উইকেট।
দুই ওপেনারকে হারিয়ে সেই যে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া, তা আর কাটেনি। লাঞ্চের আগে টিম পেনের দল হারায় আরও দুই উইকেট। লাঞ্চে চার উইকেটে ৮৯ ছিল অস্ট্রেলিয়ার স্কোর। যা মনোবল বাড়ায় বিরাট কোহালির দলের।
তিন নম্বরে নামা উসমান খাওয়াজাকে ফেরেন বাঁ-হাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাডেজা। ফিঞ্চের মতো এই ক্যাচও নেন মায়াঙ্ক। লাঞ্চের পর জাডেজা ফেরান মিচেল মার্শকেও।
লাঞ্চের আগে ও পরে জোড়া ধাক্কা দেন বুমরা। মধ্যাহ্নভোজের ঠিক আগে অসাধারণ স্লোয়ার বলে শন মার্শকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। লাঞ্চের পরই ট্র্যাভিস হেডকে বোল্ড করলেন অসাধারণ ডেলিভারিতে।
১০২ রানে ছয় উইকেট পড়ে গিয়ে ধুঁকছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই সময় সপ্তম উইকেটে অধিনায়ক টিম পেন ও প্যাট কামিংস যোগ করেন ৩৬ রান। চায়ের বিরতির আগে কামিংসকে বোল্ড করেন মহম্মদ শামি।
১৩৮ রানে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার সাত উইকেট। সেখান থেকে ১৫১ রানে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়া। শেষ তিন উইকেটই নেন বুমরা। প্রথমে ফেরান পেনকে। তারপর নেন লায়ন ও হেজলেউডকে।
৩৩ রানে ছয় উইকেট নিলেন বুমরা। টেস্টে এটাই তাঁর সেরা বোলিং। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডেও পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাপটেই ২৯২ রানের লিড পায় ভারত।
ফলো-অন না করিয়ে ব্যাট করতে নেমে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে ধ্বস নামান প্যাট কামিংস। প্রথম ইনিংসেও বিপজ্জনক ছিলেন তিনি। শুক্রবার প্রথম চার উইকেটই নিলেন তিনি। ফেরালেন হনুমা, পূজারা, কোহালি, রাহানেকে।
হেজেলউডের বাড়তি বাউন্সে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন রোহিতও। দিনের শেষে পাঁচ উইকেটে ৫৪ তুলেছে ভারত। দুর্দান্ত ভাবে অস্ট্রেলিয়া লড়াইয়ে ফিরলেও ৩৪৬ রানের বিশাল লিড রয়েছে ভারতের। ফলে, ২-১ করার স্বপ্নই দেখছেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা।