ভুবি এখন কোহালির অন্যতম ভরসা। —ফাইল চিত্র।
মাত্র ১৯ বছর বয়সেই নজর কেড়ে নিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে সচিন তেন্ডুলকরকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দিয়ে ভুবি পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছিলেন। এর আগে ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ ঘরোয়া ক্রিকেটে কখনও ‘ডাক’ দেখেননি।
ভুবিই প্রথম বোলার হিসেবে সচিনকে তুলে নেন শূন্য রানে। আর ওই একটা উইকেট ভুবনেশ্বর কুমারের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল অনেকটাই। তার পর থেকে তাঁর বিশ্বাস জন্মে গিয়েছিল, যে কোনও ব্যাটসম্যানকে তিনি আউট করতে পারবেন।
ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলার সময়ে ভারতের পেসার বলেছেন, ‘‘সেই সময়ে সচিনের সেটাই ছিল রঞ্জি ট্রফিতে প্রথম ‘ডাক’। আজকের দিনে কোনও তরুণ বোলার যদি শূন্য রানে কোহালিকে আউট করে, তা হলে ওর আত্মবিশ্বাস বেড়ে যেতে বাধ্য। আমার ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছিল। সচিনকে ফেরানোর পর থেকে আমার আত্মবিশ্বাস এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, মনে হত যে কোনও ব্যাটসম্যানকেই আমি আউট করতে পারব।’’
আরও পড়ুন: বল বিকৃতিতে ছাড়ের ভাবনা কতটা যুক্তিযুক্ত? আইসিসির প্রস্তাবে দ্বিধাবিভক্ত ক্রিকেটমহল
সেই রঞ্জি ফাইনালে ষষ্ঠ ওভারে ওয়াসিম জাফরকে তুলে নিয়েছিলেন ভুবি। তার পরে ১৪তম ওভারে বিনায়ক সামন্তকে এলবিডব্লিউ করেন। এর পরেই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সচিনকে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান ভুবি। যদিও সেই রঞ্জি ফাইনালটা জিতেছিল মুম্বই। কিন্তু সচিনের উইকেট ভুবিকে পৌঁছে দিয়েছিল এক অন্য কক্ষপথে। আজও সেই স্মৃতি ভুবনেশ্বর কুমারকে আবেগতাড়িত করে।