ভাইচুং ভুটিয়া ফাইল চিত্র
চুক্তি-বিতর্কে ইস্টবেঙ্গলের ‘বিদ্রোহী’ সমর্থকদের পাশে দাঁড়ালেন ভাইচুং ভুটিয়া। শনিবার গণমাধ্যমে ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার লিখেছেন, “আমার প্রিয় ক্লাব ইস্টবেঙ্গলে যা ঘটে চলেছে, তা দেখে ব্যথিত। ঐতিহ্য ও সমর্থকই ক্লাবের পরিচয়। আমি আশাবাদী, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। আবার উজ্জ্বল দিনগুলি ফিরে আসুক।”
লগ্নিকারী সংস্থা বনাম ক্লাব কর্তাদের বিবাদের জেরে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ। দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন সমর্থকেরাও। নজিরবিহীন ভাবে গত ২১ জুলাই তাঁদের সংঘর্ষের জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল কলকাতা ময়দান। পুলিশের লাঠির আঘাতে জখম হয়েছিলেন কয়েক জন বিক্ষোভকারী। শ্যাম থাপা, গৌতম সরকার-সহ একাধিক প্রাক্তন তারকা সেই ঘটনার নিন্দা করলেও ভাইচুং এত দিন কোনও মন্তব্য করেননি। অবশেষে প্রতিক্রিয়া জানালেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।
ভাইচুংয়ের প্রতিবাদের দিনেই অস্বস্তি আরও বাড়ল লাল-হলুদে। সূত্রের খবর, শনিবার সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে ইস্টবেঙ্গলের লগ্নিকারী সংস্থার কর্তাদের পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২৭-২৮ জুলাইয়ের মধ্যে চুক্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটিয়ে নিতে না পারলে আরও সমস্যা বাড়বে লাল-হলুদের। কারণ, এএফসি ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের জন্য সব দলকেই ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এআইএফএফ-কে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। ৩১ অগস্টের মধ্যে দিতে হবে ফুটবলারদের তালিকাও। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও ফুটবলারের সঙ্গেই চুক্তি হয়নি এসসি ইস্টবেঙ্গলের। লগ্নিকারী সংস্থার কর্তারা জানালেন, চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত না হলে তাঁদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। শোনা যাচ্ছে, আইএসএল কর্তৃপক্ষও চুক্তি সমস্যা মেটাতে আসরে নেমেছেন। লগ্নিকারী সংস্থা ও ইস্টবেঙ্গলের বিবাদ মেটাতে উদ্যোগী হয়েছেন লাল-হলুদের প্রাক্তন ফুটবলারেরাও। আগামী ২৬ জুলাই, সোমবার ময়দানে ক্লাব তাঁবুতে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসার কথা তাঁদের। তার পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানাবেন সাক্ষাতের জন্য। ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি সমস্যা মেটাতে মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
এ দিকে, জবি জাস্টিনকে ছেড়ে দিল এটিকে-মোহনবাগান। হাঁটুতে চোট পাওয়ায় গত মরসুমে পুরোটাই কার্যত মাঠের বাইরে কাটিয়েছেন সবুজ-মেরুন স্ট্রাইকার। জবিকে দলে পেতে আগ্রহী নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি।
ফেডারেশনের উদ্যোগ: জাতীয় দলের ফুটবলার, কোচ, অন্যান্য কর্মী, রেফারি ও তাঁদের পরিবারের চিকিৎসার খরচ বহন করার দায়িত্ব নিল এআইএফএফ। শুধু তাই নয়। কোনও ফুটবলারের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকেও আর্থিক সাহায্য করা হবে। ১৯৫০ সাল থেকে যাঁরা দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন, তাঁরা এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।