পাটিয়ালার পিচে প্রথম দিন থেকেই বল ঘুরতে পারে। প্রতীকী ছবি।
বাড়তি উত্তেজনা নেই। চিহ্ন নেই উদ্বেগের। আর পাঁচটি ম্যাচের মতোই ফাইনালকে দেখছেন বাংলার অধিনায়ক ঋত্বিক রায়চৌধুরী। ছেলেদের দক্ষতার উপর আস্থা রয়েছে বঙ্গ অধিনায়কের। ঋত্বিকের বিশ্বাস, ‘‘সেমিফাইনালে পিছিয়ে থেকেও জিতেছি। ফাইনালে সেটাই আমাদের অনুপ্রেরণা। হারার কোনও সম্ভাবনাই দেখতে চাই না।’’
আজ, সোমবার পাটিয়ালায় অনূর্ধ্ব-২৩ কর্নেল সি কে নাইডু ট্রফির ফাইনালে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে নামছে বাংলা। ২০০৬-০৭ মরসুমে শেষ বার বাংলাকে এই ট্রফি এনে দিয়েছিলেন মনোজ তিওয়ারি, অরিন্দম দাসরা। এ বার ঋত্বিক, আমির গনি, অনন্ত সাহাদের সামনে সেই সম্মান ফিরিয়ে আনার আরও একটি সুযোগ থাকছে।
পাটিয়ালার পিচে প্রথম দিন থেকেই বল ঘুরতে পারে। সে রকমই ইঙ্গিত বঙ্গ কোচ সৌরাশিস লাহিড়ীর। তিন পেসার ও এক স্পিনারের বদলে তাই দুই পেসার, দুই স্পিনার ও এক অলরাউন্ডার নিয়ে নামতে চলেছে বাংলা। পাটিয়ালা থেকে ফোনে সৌরাশিস বলছিলেন, ‘‘পিচে কোনও ঘাস নেই। প্রথম দিন সাহায্য পেতে পারে ব্যাটসম্যানেরা। দ্বিতীয় দিন থেকে বল ঘুরতে পারে। দুই স্পিনার নিয়েই নামব। সে ক্ষেত্রে শুভম সরকারকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। পেসার হিসেবে খেলবে অনন্ত সাহা ও আকাশ দীপ। গনি ও শ্রেয়ান (চক্রবর্তী) দুই স্পিনার। ঋত্বিক অলরাউন্ডার। যদিও সকালের পিচ দেখেই নিশ্চিত সিদ্ধান্ত নেব।’’
বাংলার বিপক্ষে আনমোলপ্রীত সিংহের মতো ব্যাটসম্যান রয়েছেন। তাঁকে সমীহ করলেও ভয় পাচ্ছেন না ঋত্বিক, অনন্তরা। রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠে মনোজদের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন আনমোলপ্রীত। সে ম্যাচে বাংলার ১৫ জনের দলে ছিলেন অনন্ত। সেই ইনিংস দেখেছিলেন তিনিও। এ বার আনমোলপ্রীতের বিরুদ্ধে নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া বাংলার পেস অস্ত্র অনন্ত। প্রতিযোগিতায় ৫১টি উইকেটের মালিক বলে দিলেন, ‘‘ফাইনালে যখন উঠেছি, চ্যালেঞ্জ সামলাতেই হবে। বিপক্ষে কে আছে তা দেখে ভয় পেয়ে গেলে তো আগেই হেরে যাব। ওদের আতঙ্কে রাখতে হবে। তবেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরতে পারব।’’ সঙ্গে আরও বলেন, ‘‘রঞ্জি ট্রফির শেষ ম্যাচে খুব কাছ থেকে আনমোলকে দেখেছি। কোন বলে ওর অসুবিধা হতে পারে সেই আন্দাজও রয়েছে আমার।’’
বিপক্ষে খেলবেন অভিষেক শর্মাও। আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (বর্তমানে ক্যাপিটালস)-এর হয়ে অভিষেক ম্যাচে ১৯ বলে ৪৬ করেছিলেন তিনি।