স্নেহ: মেয়ের সঙ্গে ধোনি। এক অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার। ছবি: টুইটার
ঘরের মাঠে বাংলাকে হারানো যেমন কঠিন, রাঁচীতে ঝাড়খণ্ডকে হারানোও ততটাই। তার উপর মেন্টর হিসেবে যদি ঝাড়খণ্ড দলের সঙ্গে থাকেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, তা হলে তো কথাই নেই। শুক্রবার সেই কঠিন কাজটাই করতে নামছে বাংলা। মুস্তাক আলি ট্রফির আঞ্চলিক পর্বে ওডিশাকে সহজে হারানোর পরে এ বার মনোজ তিওয়ারিদের সামনে এই পর্বের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ।
জাতীয় দায়িত্ব থেকে আপাতত ছুটিতে থাকা ধোনি শুরু থেকেই দলের সঙ্গে রয়েছেন মেন্টর হিসেবে। যেটা তাঁদের বাড়তি শক্তি বলে মনে করছেন সৌরভ তিওয়ারি, ইশাঙ্ক জাগ্গি, ঈশান কিষেণরা। রঞ্জি ট্রফিতে বেশ খারাপ পারফরম্যান্সের (৬ ম্যাচে একটা জিতে গ্রুপে ৭ দলের মধ্যে ৬ নম্বরে) পরে ধোনির রাজ্যের ক্রিকেটাররা তাঁদের রোল মডেলের সামনে ভাল কিছু করে দেখাতে চান। যার শুরুটা তাঁরা ভালই করেছেন ২৪ রানে জিতে। কিন্তু সে তো ত্রিপুরা। রঞ্জির সেমিফাইনালে খেলা বাংলাকে হারানোটা যে মোটেই সোজা নয়, তা বরুণ অ্যারনরা ভালই জানেন। তাই শুক্রবার তাঁদেরও কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে।
আরও পড়ুন: এই ভারতীয় দলে পরিবর্তন আনাটা বোকামি: ডোনাল্ড
দুই দলই তাদের প্রথম ম্যাচে দাপট নিয়ে জিতেছে। বাংলা ওডিশাকে হারিয়েছে সহজেই। ব্যাটিং, বোলিং সব দিক থেকেই ভাল পারফরম্যান্স মনোজদের। তবু ঘরের মাঠে ধোনির তত্ত্বাবধানে খেলছে বলে ঝাড়খণ্ডকে সহজ ভেবে নেওয়ার চরম ভুল করতে রাজি নন মনোজরা। রাঁচী থেকে এ দিন তিনি জানালেন, ‘‘সম্ভবত ঝাড়খণ্ডই এই পর্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। কে কতটা তৈরি, তার চেয়েও বড় কথা হল কাল মাঠে নেমে কে কত ভাল খেলবে। এটাই আসল।’’ শুক্রবার দুপুরে ম্যাচ বাংলার। সকালের ম্যাচের পরে উইকেট চল্লিশ ওভার পুরনো হয়ে যাবে বলে বঙ্গ অধিনায়কের ধারণা। তাই শেষের দিকে উইকেটের গতি কমে যাওয়ার আগে টস জিতলে প্রথমে ব্যাট করে নেওয়ারই পক্ষপাতি বঙ্গ টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে উইনিং কম্বিনেশন ভাঙার পক্ষে নয় বঙ্গ শিবির। কিন্তু গত ম্যাচের উইকেটের চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হলে দলে বদল আনতে হতে পারে বলে জানান অধিনায়ক। ধোনি মেন্টর বলে বাড়তি চ্যালেঞ্জ, তা মানতে রাজি নন তিনি।