গোলাপি বলে প্রথম দলীপ ট্রফিতে প্রথম দিন যদি বোলারদের হয়, তা হলে দ্বিতীয় দিনটা ব্যাটসম্যানদের।
বা আরও ভাল করে বললে বাংলার সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের।
প্রথম ইনিংসে দাগ কাটতে না পারা (৫ রানে আউট হয়েছিলেন) সুদীপ (১১৪) দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করে দলকে বড় রানের দিকে এগিয়ে দিলেন। বাংলার বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের সঙ্গে সেঞ্চুরি করেছেন তামিলনাড়ুর ওপেনার অভিনব মুকুন্দ। দেড়শো রান করে অপরাজিত আছেন মুকুন্দ (১৬২ ব্যাটিং)। যার জোরে সুরেশ রায়নাদের সবুজ টিমের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১৬১ রানে শেষ হয়ে যাওয়া যুবরাজ সিংহদের লাল টিম প্রায় সাড়ে তিনশোর উপর লিড নিয়ে ফেলেছে। দ্বিতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে যুবরাজদের রান ৩৪৪-৩। লিড ৩৫৪ রানের।
মঙ্গলবার সতেরোটা উইকেট পড়ার পড়ার পর গোলাপি বল যে আতঙ্ক তৈরি করেছিল সেটা ভেঙে দিল সুদীপ আর মুকুন্দের ব্যাটিং। সুদীপের ইনিংস দেখে দারুণ খুশি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘‘অসাধারণ ইনিংস। এটাই সুদীপের আসল খেলা। আমার আশা ভবিষ্যতে ও ভারতীয় দলের হয়ে খেলবে।’’
অসাধারণ ইনিংস। এটাই সুদীপের আসল খেলা।
আমার আশা ভবিষ্যতে ও ভারতীয় দলের হয়ে খেলবে। —সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
বাংলার প্রাক্তন কোচ অশোক মলহোত্র রাতে বললেন, ‘‘গোলাপি বলে প্রথম ডে-নাইট দলীপ ট্রফি। তাই প্রথম দিন হয়তো ব্যাটসম্যানদের উপর মানিয়ে নেওয়ার একটা চাপ ছিল। তাতেই দ্রুত উইকেট গিয়েছে। কিন্তু যত সময় গড়িয়েছে তত ব্যাটসম্যানরা সেটল করেছে। সেটার ফলই দেখা গেল বুধবার।’’ পাশাপাশি সুদীপের ইনিংস নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘পরিবেশ-পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক। যার কাছে টেকনিক থাকবে সেই এগিয়ে থাকবে। সুদীপ সেটাই দেখিয়ে দিল। গত বছর রঞ্জি ট্রফিতেও তো পরপর তিনটে সেঞ্চুরি করেছিল ছেলেটা। আমার তো মনে হয় এই ইনিংসের পর ভারতীয় দলের জন্য ওর নাম নিশ্চয়ই নির্বাচকদের মাথায় থাকবে।’’
সুদীপও বললেন গোলাপি বলে মানিয়ে নিতে তাঁদের একটু সময় লেগেছে। ‘‘আজ বড় পার্টনারশিপের টার্গেট নিয়ে নেমেছিলাম। ভাগ্য ভাল সেটা পেয়ে গেলাম। প্রথম দিন বলটা বুঝতে একটু সময় লেগে গিয়েছিল। তা ছাড়া এ দিন পিচটাও আগের দিনের চেয়ে আরও ভাল মনে হয়েছে,’’ বলেছেন বাংলার ব্যাটসম্যান। গত বার দলীপ ট্রফিতে ৯৯ রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ। বুধবার সেঞ্চুরি করার আগে কি তাই গত বারে কথা ভেবে আলাদা কোনও চাপ ছিল? সুদীপ বলেন, ‘‘না, কোনও চাপ ছিল না। আমি স্কোর বোর্ডের দিকে তাকাইনি।’’