বাংলার খো খো খেলোয়াড় সুস্মিতা সাহা। —নিজস্ব চিত্র
প্রায় দেড় বছর আগে ছিঁড়ে গিয়েছিল পায়ের লিগামেন্ট। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না বাংলার খো খো খেলোয়াড় সুস্মিতা সাহা। শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে প্রায় বিনা খরচে অস্ত্রোপচার করালেন তিনি। ফের মাঠে ফেরার দিন গুনছেন সুস্মিতা।
হুগলির ব্যান্ডেলের বাসিন্দা জাতীয় স্তরের খো খো খেলোয়াড় সুস্মিতা। বাবা মারা যাওয়ার পর তাঁর মা অলকা সাহা অন্যের বাড়িতে এবং একটি স্কুলের মিড ডে মিলে রান্নার কাজ করে দুই মেয়ে-এক ছেলেকে নিয়ে সংসার চালান। বড় মেয়ে সুস্মিতা জাতীয় স্তরের খো খো খেলোয়াড়। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে খেলতে গিয়ে বাঁ পায়ে চোট লাগে তাঁর। সেই সময় চোট কতটা গুরুতর তা বুঝতে পারেননি তিনি। খেলতে খেলতে পড়ে যেতেন। ব্যথা লাগত পায়ে। বহু জায়গায় চিকিৎসা করিয়েও চোট সারেনি।
২০২১ সালের মার্চ মাসে হাওড়ার এক চিকিৎসককে দেখান সুস্মিতা। তিনি এমআরআই করার পরামর্শ দেন। রিপোর্টে দেখা যায় তার বাঁ পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছে। চিন্তায় পড়ে যায় সুস্মিতার পরিবার। চিকিৎসক জানান, অস্ত্রোপচার করতে হবে। খরচ প্রায় এক লাখ টাকার উপরে। সেই সময় পরিবারের কারও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছিল না। ২০২১ সালে দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সাথীকার্ডের আবেদন করেন সুস্মিতার মা। ওই কার্ড পাওয়ার পর হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার হয় সুস্মিতার। সুস্মিতা বলেন, “সুস্থ হয়ে আবার খো খো খেলব।”
সুস্মিতা স্কুল, জেলা থেকে জাতীয় এমনকি ফেডারেশন গেমস, এনসিসি ন্যাশনাল গেমস খেলেছেন বহু বার। বহু মেডেল জিতেছেন তিনি। আগামী দিনে আবার খো খো মাঠে ফিরতে চান সুস্মিতা।