—ফাইল চিত্র।
অশোক ডিন্ডা ও মুকেশ কুমারের দাপটে হায়দরাবাদকে প্রথম ইনিংসে ৩১২ রানে শেষ করে তিন পয়েন্ট ঘরে তুলল বাংলা। দুই পেসারের ঝোড়ো স্পেল টিকিয়ে রাখল বাংলার কোয়ার্টার ফাইনালের আশাও।
ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরনের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের (১৮৬) সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে ৩৩৬ রান করেছিল বাংলা। কিন্তু তৃতীয় দিনের শেষে পিচ ক্রমশ ব্যাটিং-সহায়ক হয়ে ওঠায় কপালে ভাঁজ পড়েছিল অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির। বলেছিলেন, ‘‘চতুর্থ দিনের সকালে পেসারদেরই উইকেট তুলতে হবে। পিচ একেবারেই পাটা হয়ে গিয়েছে। জানি না কী হবে!’’ অবশেষে দুশ্চিন্তা মিটল অধিনায়কের। মেটালেন তাঁর পেসাররাই। বিপক্ষকে ৩১২ রানে অল আউট করে হায়দরাবাদের ঘরের মাঠ থেকেই তিন পয়েন্ট তুলে নিল বাংলা। ৩১ ওভার বল করে ৮৮ রান দিয়ে চার উইকেট পেলেন ডিন্ডা। ২৭ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে চার উইকেট নিলেন ডান হাতি পেসার মুকেশ কুমার। একটি করে উইকেট ঈশান পোড়েল ও বাঁ হাতি পেসার শাহবাজ আহমেদের। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৪ ওভার ব্যাট করতে হয়েছে বাংলাকে। তার পরেই আলো কমে আসায় ম্যাচ ড্র ঘোষণা করা হয়। সোমবার বাংলার অধিনায়ক মনোজ বলেন, ‘‘প্রথম দিন বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ না থাকলে এই ফলটাই আরও ভাল হতে পারত। হয়তো ছয় পয়েন্ট নিয়েই বিশাখাপত্তনম উড়ে যেতে পারতাম। কিন্তু প্রায় তিন দিনের এই ম্যাচে তিন পয়েন্ট পেয়েই আমি খুশি।’’
রঞ্জি ট্রফির নতুন নিয়ম অনুযায়ী গ্রুপ ‘এ’ ও ‘বি’ থেকে সেরা পয়েন্ট সংগ্রহকারী পাঁচ দল যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। সেই হিসেবে বাংলা রয়েছে সপ্তম স্থানে। গ্রুপ ‘বি’-তে বাংলার স্থান তিন নম্বরে। দু’টি গ্রুপ মিলিয়ে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে সৌরাষ্ট্র। দিল্লিকে ইনিংসে হারিয়ে সোমবারই সাত পয়েন্ট পেয়েছে কেরল। তারা দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে (২০)। গুজরাত, বিদর্ভ ও মধ্যপ্রদেশের পয়েন্ট ১৮। হিমাচল প্রদেশের পয়েন্ট ১৬। ১৫ পয়েন্ট বাংলার। মনোজ বলছেন, ‘‘আগামী তিন ম্যাচের তিনটিই সরাসরি জিততে হবে। না হলে প্রতিযোগিতায় থাকা কঠিন। তবে এই ম্যাচে ছেলেরা যে লড়াই দেখিয়েছে, তাতে আগামী ম্যাচগুলোর জন্য
আমি আশাবাদী।’’
বাংলার পরের ম্যাচ ২২ ডিসেম্বর থেকে। বিশাখাপত্তনমে প্রতিপক্ষ অন্ধ্রপ্রদেশ। সোমবারই তাদের ইনিংস ও তিন রানে হারিয়েছে হিমাচল প্রদেশ। ‘বি’ গ্রুপে একেবারে শেষে রয়েছে মনোজদের পরের প্রতিপক্ষ।