চাপের মুখে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেন মনোজ।
পরিকল্পনার সঠিক প্রয়োগ করে রঞ্জি ট্রফিতে তিন পয়েন্ট পেল বাংলা। তৃতীয় দিনের শেষে গুজরাতের রান ছিল সাত উইকেটে ১৬৯ রান। পার্থিবদের দুশো রানের আশেপাশে আটকে রাখতে পারলে মনোজরা বাংলাকে তিন পয়েন্ট এনে দিতে পারবেন বলে নিশ্চিত ছিলেন বোলিং কোচ রণদেব বসুও। সেই কাজটাই দুর্দান্ত ভাবে করলেন আকাশদীপরা।
চতুর্থ দিন গুজরাতকে ১৯৪ রানে মুড়িয়ে দেয় বাংলা। তিন পয়েন্ট ঘরে তোলার জন্য ম্যাচের শেষ দিন গুজরাতকে দ্রুত আউট করে তাদের রান টপকানোই ছিল বাংলার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে সফল বাংলা। গুজরাতের ১৯৪ রান টপকে যান মনোজ তিওয়ারি-অভিমন্যু ঈশ্বরনরা।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অভিষেক রমনের (৬) উইকেট হারায় বাংলা। দলের রান যখন ৫০, তখন দ্বিতীয় উইকেট যায় বাংলার। এর পরে ঈশ্বরন ও মনোজ তিওয়ারি জুটিতে ৪৩ রান জোড়েন। ৪২ রানে আউট হন বাংলার অধিনায়ক। ব্যক্তিগত ৩৭ রানে ফেরেন মনোজ।
আরও পড়ুন: স্ত্রী-পরিবার নিয়ে স্লেজিংয়ে কথাবার্তাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পাঠান-সঙ্গকারার
এর পরে ঋত্বিক রায়চৌধুরী ও শ্রীবৎস গোস্বামী বাংলার ইনিংস টেনে নিয়ে যান। গুজরাতের থেকে ন’রান দূরে যখন বাংলা, তখন শ্রীবৎস (২৯) প্যাভিলিয়নে ফেরেন।প্রথম ইনিংসে বাংলার রান পাঁচ উইকেটে ২৩৯। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে তিন পয়েন্ট পায় বাংলা। ম্যাচ হয় ড্র।
বাংলার বোলারদের মধ্যে ঈশান পোড়েল ৪টি ও আকাশদীপ ৬টি উইকেট নেন। তৃতীয় দিন আকাশ নিয়েছিলেন চারটি উইকেট। এ দিন আরও দু’টি উইকেট নেন তিনি। বাকি কাজটা সারেন ব্যাটসম্যানরা। বাংলাকে এনে দেন মূল্যবান তিন পয়েন্ট।