Cricket

অনবদ্য ঈশ্বরন অপরাজিত থাকলেন ১৮৩ রানে, ইডেনে দিল্লিকে চূর্ণ করল বাংলা

 লক্ষ্য ছিল ৩২২ রানের। কাজটা একেবারে সহজ ছিল তা মোটেই নয়। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে দু’দলের ব্যাটসম্যানরাই বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। বছরের দ্বিতীয় দিন সকালে ক্রিকেটের নন্দনকাননে কিন্তু একেবারে উলটো ছবি। দিনের শুরু থেকেই দিল্লির বোলারদের ওপর কর্তৃত্ব করে গেলেন বঙ্গ ব্যাটসম্যানরা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:৩৯
Share:

ইডেনে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেললেন অভিমন্যু ঈশ্বরন। ফাইল ছবি।

ইডেনে ঘরের মাঠে দুর্দান্ত জয় পেল বাংলা। বুধবার রঞ্জি ট্রফির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দিল্লিকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ঝলমলে জয় তুলে নিল মনোজ তিওয়ারি অ্যান্ড কোং। নতুন বছরের শুরুতেই বাংলার এই স্মরণীয় জয় স্থানীয় ক্রিকেটমহলে নতুন করে আশার আলো জ্বেলে দিল। সৌজন্যে অভিমন্যু ঈশ্বরনের অপরাজিত ১৮৩ রানের অনবদ্য ইনিংস। যা এনে দিল ছয় পয়েন্টের স্বস্তি। সাত ম্যাচে বাংলার পয়েন্ট দাঁড়াল ২২।

Advertisement

বুধবারের ইডেন সাক্ষী রইল বঙ্গ ব্যাটসম্যানদের রান-বন্যার। প্রথম ইনিংসে নীতিশ রানার দিল্লির বিরুদ্ধে ২০ রানে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলা। তার পরই ইডেনের বাইশ গজ ব্যাটসম্যানদের পক্ষে বেশ সহজ হয়ে য়ায়। সহজ অর্থ, উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকলে রান আসবেই। এই ভরসাতেই বছরের প্রথম দিন খেলা শেষের পর বঙ্গ পেসার অশোক দিন্দাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “ম্যাচ আমরা অনেক আগেই শেষ করে দেব।’’

লক্ষ্য ছিল ৩২২ রানের। কাজটা একেবারে সহজ ছিল তা মোটেই নয়। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে দু’দলের ব্যাটসম্যানরাই বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। বছরের দ্বিতীয় দিন সকালে ক্রিকেটের নন্দনকাননে কিন্তু একেবারে উলটো ছবি। দিনের শুরু থেকেই দিল্লির বোলারদের ওপর কর্তৃত্ব করে গেলেন বঙ্গ ব্যাটসম্যানরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: সিডনিতে এ কেমন দল ভারতের! টুইটারে প্রশ্ন তুললেন ক্রিকেটপ্রেমীরা

আরও পড়ুন: সিডনিতে সৌরভ-সচিন-ধোনিকে টপকে কোহালির সামনে ইতিহাস গড়ার হাতছানি

মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের খেলা শেষের সময় বাংলার স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ১৮। ক্রিজে ছিলেন দুই ওপেনার অভিষেক রামন ও অভিমন্যু ঈশ্বরন। ওপেনিং জুড়িতে ওঁরা দু’জন ১২১ রান তোলার পর বাংলা হারায় প্রথম উইকেট। নীতিশ রানার বলে ফিরে যান রামন। এরপর খুব তাড়াতাড়ি বাংলা হারায় আরও দুই উইকেট।

ফিরে যান সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (২) ও অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি (৫)। দু’জনকেই ফিরিয়ে দেন দিল্লি পেসার কুলবন্ত খেজরোলিয়া। এরপর কিন্তু, পাল্টা প্রত্যাঘাত। অভিমন্যু ঈশ্বরন ডানা মেললেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। অনেক দিন পর অনুষ্টুপকে এত ভরসাযোগ্য লাগল। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে দুজনে জুড়লেন ১৮৬ রান। অভিমন্যু ২১১ বল খেলে ১৮৩ রানে অপরাজিত রইলেন। তাঁর দুরন্ত ইনিংসে রইল ২৩ চার ও দুই ছক্কা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি ঈশ্বরনের নবম শতরান। অন্যদিকে, ১২২ বলে ৬৯ রান করে নট আউট রইলেন অনুষ্টুপ। আটটি চারের সাহায্যে নিজের ইনিংস সাজালেন তিনি।

৭০.২ ওভারে ৩২৩ তুলে অবিশ্বাস্য জয় পেল বাংলা। সঙ্গে সঙ্গে চতুর্থ ইনিংসে এত বেশি রান তাড়া করে বাংলা কখনও জিতেছে কিনা, তা নিয়ে ময়দানে শুরু হল চর্চা। তবে যা নিয়ে বিতর্কের কোনও জায়গা নেই তা হল, এই জয় বাংলাকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলল।

(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল ,টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement