স্টোকসের মুকুটে জুড়তে চলেছে নতুন পালক। ছবি: রয়টার্স।
নিউজিল্যান্ডের বর্ষসেরা নাগরিক সম্মানের জন্য মনোনীত হলেন ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার বেন স্টোকস। তাঁর সঙ্গে কিউয়ি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকেও সেরা নাগরিকের সম্মানের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
বিশ্বকাপ ফাইনালে বেন স্টোকসের মরিয়া লড়াই ইংল্যান্ডকে এনে দেয় বিশ্বকাপ। নিউজিল্যান্ডের ২৪১ রান তাড়া করতে নেমে একটা সময়ে একাধিক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই সময়ে জস বাটলারের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়েন স্টোকস। বাটলার ফিরে গেলেও স্টোকস কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন।
ইংল্যান্ডের ইনিংসের শেষ ওভারে তো রীতিমতো নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। স্টোকসের জন্যই ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেও ম্যাচের নিষ্পত্তি না হওয়ায় বেশি বাউন্ডারি মারার ভিত্তিতে ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়। পর পর দু’বার বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেও কাপ অধরা থেকে যায় কিউয়িদের।
আরও পড়ুন: ধোনিকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে, বললেন গম্ভীর
আরও পড়ুন: একাধিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিলাম, স্বীকার করলেন পাক অলরাউন্ডার
বেন স্টোকসের জন্ম আর শৈশবের পুরোটাই কেটেছে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে। তাঁর বাবা জেরার্ড স্টোকস নিউজিল্যান্ডের নামী রাগবি খেলোয়াড় ছিলেন। রাগবি খেলোয়াড়ের থেকেও জেরার্ড স্টোকসের পরিচিতি কোচ হিসেবেই বেশি ছিল। নানা জায়গায় কোচিং করানোর পরে ইংল্যান্ডের ওয়ার্কিংটন টাউন রাগবি লিগ ক্লাবের কোচ হওয়ার প্রস্তাব পান জেরার্ড। সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে পুরো পরিবার নিয়ে ইংল্যান্ডে চলে আসেন জেরার্ড।
নিউজিল্যান্ডের বেন স্টোকস হয়ে যান ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার। ১৬ বছর ধরে ইংল্যান্ডেই রয়েছেন তিনি। রবিবাসরীয় ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকেই হারাল স্টোকসের ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের প্রধান বিচারক ক্যামেরন বেনেট বলেন, “স্টোকস ব্ল্যাক ক্যাপসদের হয়ে খেলেননি। কিন্তু ক্রাইস্টচার্চে জন্ম ওঁর। স্টোকসের মা-বাবাও থাকেন এখানে। ফলে ওকে নিউজিল্যান্ডের লোকই বলা যায়।’’
স্টোকসের পাশাপাশি উইলিয়ামসন প্রসঙ্গে বেনেট বলেন, যে গুণগুলোর জন্য নিউজিল্যান্ডের মানুষ হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি, সেই সবই রয়েছে উইলিয়ামসনের মধ্যে।