মৌমাছির আক্রমণে হেলমেট। ছবি: রয়টার্স।
হঠাৎ করেই খেলা বন্ধ। এমনটা ক্রিকেটে অস্বাভাবিক নয়। কখনও বৃষ্টি তো কখনও লাইট অফ আবার কখনও ভেজা আউট ফিল্ড। তবে এ বার যে কারণে ঘণ্টা খানেক বন্ধ থাকল শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকার খেলা সেটাও ক্রিকেট মাঠে এর আগে হয়েছে। যখন মৌমাছির আক্রমণে রীতিমতো পালিয়ে বেঁচেছেন ক্রিকেটাররা। আবার কখনও মাঠ ছাড়তে না পেরে মাঠেই শুয়ে পড়েছেন দু’দলের প্লেয়াররা। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে শনিবার এমনি ঘটনা ঘটল। মৌমাছির আক্রমণে খেলা বন্ধ থাকল এক ঘণ্টা।
আরও খবর: মুসৌরির পাহাড় এখন মজে ধোনি বন্দনায়
মৌমাছি মারতে কামান দাগতে হল শেষ পর্যন্ত ওয়ান্ডারার্সে।
তখন শ্রীলঙ্কা ইনিংসের ২৫ ওভারের খেলা চলছিল। সফরকারী দলের তখন স্কোর ১১৭/৪। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিস হ্যারিস আসেলা গুনারত্নেকে বল করতে দৌড় শুরু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু মাঝ পথেই থামিয়ে দেন আম্পায়ার। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি সঙ্গে সঙ্গেই প্লেয়ারদের নির্দেশ দেন মাঠে শুয়ে পড়তে। ততক্ষণে ওয়ান্ডারার্সের মাঠের দখল নিয়েছে মৌমাছির দল। কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রাউন্ড স্টাফরা সব পরিষ্কার করে দেওয়ায় সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় খেলা শুরু হয়ে যায়। দু’ওভার খেলা হওয়ার পর মৌমাছির দল আবার ফিরে আসে। এ বার আর সঙ্গে সঙ্গে খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। বন্ধ করে দেওয়া হয় খেলা। প্রায় এক ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়। গ্রাউন্ড স্টাফদের মৌমাছি তাড়াতে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হয়। শেষ পর্যন্ত আগুন নেভানোর যন্ত্র ব্যবহার করে সুরাহা হয়।
দেখুন ক্রিকেট মাঠে মৌমাছি আক্রমণের সেই ভিডিও
এর পর শ্রীলঙ্কা ১১৭/৪ থেকে ১৬৩তে অল-আউট হয়ে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকা সাত উইকেটে জিতে নেয় ম্যাচ। এর আগে একাধিক বার মাঠে কুকুর ঢুকে পড়ে বন্ধ হয়েছে খেলা। এর আগে ২০০৮এ ফিরোজ শাহ কোটলায় ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচে একইভাবে মৌমাছির আক্রমণ হয়েছিল।