ডায়ানাকে নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কোষাধ্যক্ষ

মহিলা ক্রিকেটার ডায়ানা এডুলজির বিরুদ্ধে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ তুললেন ভারতীয় বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চৌধুরী।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:০৪
Share:

সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত পর্যবেক্ষক দলের অন্যতম সদস্য এবং প্রাক্তন মহিলা ক্রিকেটার ডায়ানা এডুলজির বিরুদ্ধে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ তুললেন ভারতীয় বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চৌধুরী। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, বোর্ডের তহবিল থেকে মহিলা ক্রিকেটারদের আর্থিক অনুদান দেওয়া নিয়ে। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্‌স মহিলা ক্রিকেটারদের আর্থিক স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই কমিটির অন্যতম সদস্য ডায়ানা। আবার প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসেবে তিনি এবং তাঁর বোন এই কমিটির দেওয়া আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন।

Advertisement

বোর্ডের কোষাধ্য; তাই প্রশ্ন তুলেছেন, কমিটিতে থেকে নিজেদের কি করে আর্থিক সাহায্য দিচ্ছেন ডায়না? সেটা গ্রহণ করাটাও তো স্বার্থ সংঘাত হচ্ছে। নিজের অভিযোগের কথা জানিয়ে সিওএ-কে চিঠিও লিখেছেন অনিরুদ্ধ। বোর্ডের অন্দরমহলেও এ নিয়ে কথাবার্তা চলছে। তবে এটাও ঠিক যে, সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত সিওএ এবং বোর্ডের বর্তমান প্রশাসকদের বিরোধী নেতা হিসেবেই পরিচিত অনিরুদ্ধ। কী ভাবে বোর্ডের বিশেষ সাধারণ সবার অনুমোদন না নিয়ে মহিলা ক্রিকেটারদের এককালীন আর্থিক সাহায্য দিয়ে দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। চিঠিতে লিখেছেন, এটা নীতি বিরুদ্ধ এবং আইন মেনে করা হয়নি। এটাও পরিষ্কার লিখেছেন যে, ডায়ানা এডুলজি নিজে কমিটিতে রয়েছেন। তার পরেও কী করে নিজেকে এবং তাঁর বোনকে আর্থিক সাহায্যের সিদ্ধান্তের ভাগীদার হলেন?

ডায়ানার পক্ষে থাকা কর্তারা বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত যখন হচ্ছিল তিনি নিজে বৈঠকে অংশ নেননি। বোর্ডের মধ্যে কেউ কেউ যা মানতে চাইছেন না। অনিরুদ্ধকে সমর্থন করে এঁদের বক্তব্য, তা হলে রজার বিনিকে নিয়ে কেন প্রশ্ন তুলেছিল লোঢা কমিটি? বিনি তাঁর ছেলে স্টুয়ার্টের নাম নির্বাচনী বৈঠকে উঠলে সেখানে থাকতেন না। বাকিদের হাতে সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিতেন। কিন্তু তার পরেও লোঢা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, তাঁকে নির্বাচক কমিটি ছেড়ে দিতে হয় স্বার্থ সংঘাতের প্রশ্ন উঠছিল বলে।

Advertisement

বোর্ডের মধ্যে কর্তাদের একাংশ বলছেন, একই নিয়ম ডায়ানার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে না কেন? কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ প্রশ্ন তুলেছেন ইউসুফ পাঠানের ডোপ পরীক্ষায় ধরা পড়া নিয়েও। লিখেছেন, অক্টোবরে ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিলেন ইউসুফ। তা হলে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সেটা গোপন রাখা হয়েছিল কেন?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement