চর্চায়: সৌরভের ‘কুলিং অফ’ রুখতে সক্রিয় বোর্ড। ফাইল চিত্র
আসন্ন বার্ষিক সাধারণ সভায় ক্রিকেট প্রশাসকদের ‘কুলিং-অফ’ নিয়মে পরিবর্তন আনা নিয়ে আলোচনা করবে ভারতীয় বোর্ড। যে নিয়মে বদল এলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ বাড়তে পারে। এখনকার নিয়ম অনুযায়ী সৌরভ ন’মাস প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারবেন।
সোমবার বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল বলেছেন, তাঁরা প্রশাসকদের ‘অভিজ্ঞতা’কে কাজে লাগাতে এই নিয়মের পরিবর্তন চান। সৌরভ বোর্ডের প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরে প্রথম বার বার্ষিক সাধারণ সভার যে বিষয়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে গঠনতন্ত্রে কয়েকটি পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে। গঠনতন্ত্রে এই সংস্কারগুলি সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত লোঢা কমিটির সুপারিশ করেছিল।
সুপ্রিম কোর্ট অনুমোদিত বোর্ডের এখনকার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কোনও প্রশাসক যদি বোর্ড বা রাজ্য সংস্থায় তিন বছর করে দু’বার (ছ’বছর) কোনও পদে থাকেন তা হলে তাঁকে বাধ্যতামূলক ভাবে তিন বছর ‘কুলিং অফ’-এ যেতে হবে। অর্থাৎ এই তিন বছর তিনি কোনও পদে থাকতে পারবেন না। বোর্ডের এখনকার কর্তারা চান, বোর্ড এবং রাজ্য সংস্থায় আলাদা করে দু’বার তিন বছরের মেয়াদ (ছ’বছর) পূর্ণ করার পরেই কুলিং অফে যেতে হবে, গঠনতন্ত্রে এই পরিবর্তন আনা হোক।
বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘৭০ বছরের বেশি বয়স হয়ে গেলে আর প্রশাসক পদে থাকা যাবে না এই নিয়মে আমরা কোনও পরিবর্তন চাইছি না। এটা যে রকম আছে থাকুক। তবে কুলিং অফ নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হল, কেউ যদি রাজ্য সংস্থায় প্রশাসক পদে থাকার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন তা হলে কেন তাঁকে কুলিং অফে যেতে হবে? তাঁর সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত। তিনি যদি ভারতীয় বোর্ডে অবদান রাখতে পারেন, রাখুন না।’’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘যদি কেউ রাজ্য সংস্থায় ছ’বছর প্রশাসক পদে থাকার পরে ৬৭ বছর বয়েসে পৌঁছন তা হলে তিন বছরের কুলিং অফ শেষ হতে হতেই তাঁর ৭০ বছর বয়েস হয়ে যাবে। তিনি আর বোর্ডে কোনও অবদান রাখতে পারবেন না।’’
ভারতীয় বোর্ড চায়, প্রেসিডেন্ট এবং সচিবকে কুলিং অফে যাওয়ার আগে টানা দু’বার তিন বছরের মেয়াদ পুরো করতে দেওয়া হোক। পাশাপাশি কোষাধ্যক্ষ এবং অন্য প্রশাসকদের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম হোক টানা তিন বার তিন বছরের মেয়াদ পুরো করার (ন’বছর)। ভারতীয় বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ বলেছেন, ‘‘গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন নিয়ে বার্ষিক সাধারণ সভায় পাশ হওয়া সব প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্টে জানানো হবে। তার পরে আমাদের এই ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গিও জানাব। বলা হবে, কোন কোন বাস্তব সমস্যার মুখে আমাদের পড়তে হচ্ছে। যদি সুপ্রিম কোর্ট আমাদের সঙ্গে সহমত হয়, তা হলে চালু করা হবে সেই পরিবর্তনগুলি।’’