—ফাইল চিত্র
খোদ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়ে দিয়েছিলেন, আগামী বছরের শুরুতে ঘরোয়া ক্রিকেট চালু হবে। কিছুদিন আগে ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে সব রাজ্য সংস্থাগুলোর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে তাদের কী মত। কিন্তু তা সত্ত্বেও ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
এক বোর্ড কর্তা জানিয়েছেন, “ভারতীয় বোর্ড সফলভাবে আইপিএল করেছে মানেই এই নয় যে, র়়ঞ্জি ট্রফি আয়োজন করার চাপটাও একই সঙ্গে নিতে হবে।” বোর্ড ঠিক করেছে এই পরিস্থিতিতে সবার আগে তাদের লক্ষ্য ঘরোয়া ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক মিটিয়ে দেওয়া। ওই বোর্ড কর্তার কথায়, “আইপিএলের সঙ্গে রঞ্জি ট্রফির কিছু তফাৎ আছে। আইপিএল না হলে ক্রিকেটাররা টাকা পাবে না। কিন্তু র়ঞ্জির ক্ষেত্রে সেটা নয়। খেলা না হলেও তাদের বেতন দেওয়াই যায়। আইপিএলে আটটা ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য বায়ো বাবল করা সম্ভব। কিন্তু রনজিতে ৩৮টা দল। ফলে গোটা ব্যাপারটা অত্যন্ত কঠিন। যদি একটু এদিক থেকে ওদিক হয়, তার দায়িত্ব কে নেবে?”
তবে রঞ্জি ট্রফি না হলেও মুস্তাক আলি টি২০ প্রতিযোগিতা করার ব্যাপারে বোর্ড মোটামুটি নিশ্চিত। কারণ সামনের বছর আইপিএলে নতুন একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির খেলার কথা। টি২০ বিশ্বকাপও রয়েছে। ফলে নতুন প্রতিভা খুঁজে বার করা দরকার। বোর্ড সচিব জয় শাহ বিভিন্ন রাজ্য সংস্থাগুলো ঘুরে দেখছেন, সেখানে টি২০ ক্রিকেট করার মতো পরিকাঠামো আছে কিনা। তিনিই রাজ্য সংস্থাগুলোর কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছেন, ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করার ব্যাপারে তাদের কী মতামত।
আরও পড়ুন: ৩ ম্যাচে ৩ বার! সিরিজে হ্যাজেলউডের বলেই প্রতি বার আউট কোহালি
আরও পড়ুন: ভাঙল সচিনের রেকর্ড, ৫৮ ইনিংস কম খেলে বিশ্বে দ্রুততম ১২ হাজার রান বিরাটের
বোর্ডের একটি অংশ আবার রঞ্জি ট্রফি আয়োজনের পক্ষে। তাদের বক্তব্য, যেখানে পূর্ণাঙ্গ আইপিএল হয়েছে, সেখানে রঞ্জি না হলে অনেকেই বলতে পারেন, যেহেতু আইপিএল আয়োজন করলে মোটা টাকা পাওয়া যায়, তাই বোর্ড সেটা করেছে। কিন্তু যেহেতু র়ঞ্জি আয়োজন করে কোনও টাকা নেই, তাই বোর্ড সেটা করছে না।
বোর্ডের অন্য অংশের বক্তব্য, আইপিএল আয়োজন করার জন্য প্রতিটি রাজ্য সংস্থা ৭ কোটি টাকা করে পায়। এই টাকাটা তো আইপিএল থেকেই আসে।
সব মিলিয়ে, আইপিএল হলেও ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজন নিয়ে এখনও ঘোর অনিশ্চয়তা রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে।