টিম ইন্ডিয়া থেকে এনসিএ। ভারতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ ট্রেভর পেনি ও বোলিং কোচ জো ডসকে ‘ডিমোশন’ দেওয়ার কথা ভাবছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
ভারতীয় দল থেকে অব্যহতি পাওয়া দুই সাপোর্ট স্টাফকে সম্ভবত জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এনসিএ-র কোচেদের সাহায্য করবেন তাঁরা। বোর্ডের সঙ্গে তাঁদের চুক্তির মেয়াদ যেহেতু বিশ্বকাপের আগে শেষ হচ্ছে না, তাই এ ভাবেই পেনি ও ডসকে কাজে লাগিয়ে নিতে চাইছেন বলে জানিয়েছেন বোর্ডের এক কর্তা।
ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ হারার পরই ডানকান ফ্লেচারের এই দুই সঙ্গীকে ছুটিতে যেতে বলা হয়। তখন এই দু’জনকে বলা হয়েছিল, হয় তাঁরা নিজেদের দেশে ফিরে যান বা কোথাও ছুটি কাটাতে যান। বিদেশি সাপোর্ট স্টাফদের জায়গায় সঞ্জয় বাঙ্গার, ভরত অরুণ ও এস শ্রীধরকে তাঁদের জায়গায় আনা হয়। ও রবি শাস্ত্রীকে পুরো দলের দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওয়ান ডে সিরিজে অবশ্য এর সুফলই পাওয়া যায়। তাই পেনি, ডসদের আর ভারতীয় দলের ফেরানোর কথা ভাবছে না বোর্ড। বরং তাঁদের এনসিএ-তে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বোর্ডসূত্রের খবর। এক সপ্তাহের মধ্যেই না কি তাঁরা চলেও আসবেন বলে শোনা যাচ্ছে। আগামী শুক্রবার বোর্ডের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আলোচনা হবে ভারতীয় দলের কোচ ফ্লেচারের ভবিষ্যৎ নিয়েও।
ইংল্যান্ড সফর নিয়ে বোর্ডের কাছে যে রিপোর্ট দিয়েছেন ধোনিদের টিম ডিরেক্টর রবি শাস্ত্রী, তাতে তিনি ফ্লেচারের পাশেই দাঁড়িয়েছেন বলে খবর। এই রিপোর্টে শাস্ত্রী না কি বলেছেন, ফ্লেচারের পরামর্শ ভারতীয় দলের পক্ষে যথেষ্ট মূল্যবান ও তাঁকে সে জন্যই রেখে দেওয়া উচিত। ওয়ার্কিং কমিটির আসন্ন সভায় এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আলোচনা হতে পারে। বোর্ডের একাংশ না চাইলেও ফ্লেচারকেই সম্ভবত বিশ্বকাপ পর্যন্ত কোচের পদে রেখে দেওয়া হতে পারে বলে বোর্ড সূত্র জানাচ্ছে।
হোবার্টের রুদ্ধশ্বাস জয়: টি টোয়েন্টির নিষ্পত্তি যে এক বলেই হতে পারে, তার প্রমাণ ফের পাওয়া গেল রবিবার। হায়দরাবাদে। ১৮৫-র লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে হোবার্ট হারিকেনের শেষ আশা এডেন ব্লিজার্ড লং অন বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়েও ক্রিজে রয়ে যান। কারণ, পরে রিপ্লে-তে দেখা যায় কেপ কোবরার বোলার ভার্নন ফিল্যান্ডার নো বল করেছিলেন। তখন ম্যাচ জিততে ১৭ বলে ৩৮ দরকার। সেই ব্লিজার্ডই এর পর হোবার্ট হ্যারিকেনকে শেষ ওভারে দু’টি ছয় মেরে জিতিয়ে দেন। এক ওভার বাকি থাকতেই ছ’উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়ার দলটি। ৪৮ বলে ৭৮ করেন ব্লিজার্ড। চারটি চার ও পাঁচটি ছয়।