অনুশীলন শেষে রবীন্দ্র জাডেজার সঙ্গে বিরাট কোহলি। ছবি: এএফপি।
ভারতীয় ক্রিকেটে শ্রীনি জমানা আক্রান্ত হতে না হতেই দেখা যাচ্ছে বিসিসিআই উল্টো পথে হাঁটা শুরু করেছে।
শ্রীনিবাসনের আমলে যা ভাবাই যেত না, বৃহস্পতিবার ঠিক সেটাই ঘটল। মিডিয়ার গুরুত্বকে স্বীকার করার পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিকে গালিগালাজ করার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সতর্ক করে দিল বিরাট কোহলিকে।
দোলের দিন বিকেলে বিসিসিআই থেকে পাঠানো ই-মেলে নতুন সচিব অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, “সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে বলে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় টিমের সম্মান সব সময় অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। দু’দিন আগে পারথে যে ঘটনা ঘটেছে, তা সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল বিসিসিআই। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গেও এ ব্যাপারে বোর্ডের কথা হয়েছে। বলে দেওয়া হয়েছে, ভবিষ্যতে যেন এ রকম ঘটনা আর না ঘটে।”
এর পর বোর্ড সচিব মিডিয়ার গুরুত্বের কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর সরকারি বিবৃতিতে। বলেছেন, “ক্রিকেট খেলাটাকে কভার এবং জনপ্রিয় করার জন্য মিডিয়ার ভূমিকাকে বিসিসিআই সম্মান করে। এবং ভারতে খেলাটার প্রচারের ক্ষেত্রে মিডিয়ার সমর্থনকেও স্বীকার করে।”
বোর্ডের পক্ষ থেকে এ রকম বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে, শ্রীনিবাসনের আমলে ভাবাই যেত না। যেখানে ভারতীয় ক্রিকেটে মিডিয়ার অবদানের কথা স্বীকার করা হচ্ছে! সে সময় বার বার ধোনি প্রকাশ্যে নানা ভাবে মিডিয়াকে উপেক্ষা করেছেন। এমনকী ইংল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় ধোনি পুরো টিম নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে ওয়াক আউটও করেন। কিন্তু শ্রীনির বোর্ড এমন ভাব দেখিয়েছিল, যেন কিছুই ঘটেনি। কোনও কড়া পদক্ষেপ করা তো দূরের কথা।
এ বার ভারতীয় টিমের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় শ্রীনিবাসনের লোক হিসেবে রয়েছেন মিডিয়া ম্যানেজার আর এন বাবা। তিনিও প্রথমে চেষ্টা চালিয়েছিলেন পুরো ব্যাপারটা চাপা দেওয়ার জন্য। বুধবার একটা দায়সারা গোছের বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, তেমন কিছুই হয়নি। কোহলি কোনও গালাগালি দেননি। বোর্ড সচিবের এ দিনের বিবৃতি তাঁকে হাস্যকর পর্যায়ে নামিয়ে আনল।
গোটা ঘটনা নিয়ে নতুন বোর্ড প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া কোনও সরকারি বিবৃতি না দিলেও তিনি মোটেই প্রসন্ন হননি। বোঝা যাচ্ছে, নতুন বিসিসিআই শৃঙ্খলার পথে হাঁটতে চেষ্টা করবে।
সব ব্যাটাকে ছেড়ে মিডিয়া ব্যাটাকে ধর— অতীতের এই স্লোগান আর মানবে না।