সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং ভিভিএস লক্ষণ— ভারতীয় ক্রিকেটের ফ্যাব ফোর। এক সময় ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাটিং বলতে এই চার জনকেই বুঝত ক্রিকেটবিশ্ব। কিন্তু এই চার জনের অসাধারণ পারফরম্যান্সের ছায়ায় অনেক প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান স্রেফ নজরের বাইরে থেকে গিয়েছেন।
মহম্মদ কইফ: ন্যাটওয়েস্ট ফাইনাল বললেই মনে পড়ে তাঁর নাম। দেশের হয়ে প্রচুর ওয়ান ডে খেলা কইফ পাঁচ বছরে সাকুল্যে ১৩টি টেস্ট খেলেছেন। ২০০৬ সালে বেশ কিছু ভাল ইনিংস খেললেও ফ্যাব ফোরের দাপটে তেমন ভাবে সুযোগই পাননি।
ওয়াসিম জাফর: ঘরোয়া ক্রিকেটের মুকুটহীন সম্রাট। দেশের হয়ে ৩১টি টেস্ট খেলেছেন মুম্বইয়ের এই ওপেনার। ৩৪ গড় নিয়ে শতরান তো বটেই ডাবল সেঞ্চুরিও এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। কিন্তু তাঁর পারফরম্যান্স বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ফ্যাব ফোরের ছায়ায় ঢাকা পড়ে গিয়েছে।
ঋষিকেশ কানিতকর: একটা সময়ে মনে করা হয়েছিল ফ্যাভ ফোরের ছায়া থাকলেও ধীরে ধীরে জাতীয় দলে নিজের জায়গা পাকা করে নেবেন ঋষিকেশ। কিন্তু প্রথম দিকে কিছু ম্যাচে সুযোগ পেলেও পরে আর জাতীয় দলে জায়গা হয়নি এই অলরাউন্ডারের। টিম ইন্ডিয়ার হয়ে দু’টি টেস্ট এবং ৩৪টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছিলেন কানিতকর।
সুব্রক্ষ্মণম বদ্রিনাথ: তামিলনাডুর রান মেশিন বদ্রিনাথ রঞ্জিতে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ২০০৮ সালে জাতীয় দলের হয়ে ওয়ান ডে অভিষেক ঘটলেও সে ভাবে সুযোগ পাননি। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক ঘটলেও গোটা দু’য়েক টেস্টের বেশি খেলেননি তিনি।
হেমাঙ্গ বাদানি: একটা সময়ে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে টিম ইন্ডিয়ায় প্রায় পাকা জায়গা করে নিয়েছিলেন হেমাঙ্গ। ভারতের হয়ে ৪০টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেললেও ৪টি মাত্র টেস্টে সুযোগ পেয়েছেন হেমাঙ্গ বাদানি।
অমল মুজুমদার: ফ্যাব ফোরের দাপটে জাতীয় দলের হয়ে কোনও দিন খেলাই হয়নি ঘরোয়া ক্রিকেটের এই চ্যাম্পিয়নের। রঞ্জিতে দ্বিতীয় সর্বাধিক রানের মালিক অমল ১৭১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১১ হাজারেরও বেশি রান করেছেন।